1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে সেপটিক ট্যাংকে মিলল কিশোর ইজিবাইক চালকের মরদেহ

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
এবার নোয়াখালী সদর উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পর বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে মো. রবিন হোসেন (১৬) নামে এক ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. রবিন হোসেন ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. ইউনূসের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিন পেশায় একজন ইজিবাইকচালক। সে তার সৎ মা রুনা আক্তারের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতো। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় ইজিবাইকটি ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হয় রবিন।

পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েলসহ (২৬) অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে রবিনের সঙ্গে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন স্থানীয়রা। জুয়েলের কাছে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলোমেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। রবিন নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর সোমবার সকালে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের কাছে একটি কুকুরকে ঘেউ ঘেউ করতে দেখে সেখানে গেলে স্থানীয়রা রবিনের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎ মা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পরপরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুইজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD