কথাগুলো বলছিলেন কাঁঠালবাগান এলাকার গৃহবধূ সানজিদা ইয়াসমিন।
একই সুর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিহা সুলতানার মুখেও।
তিনি বলেন, আমরা যারা গ্রিনরোডে থাকি, তাদের কাছে গ্যাস না থাকাটা এখন অনেকটা নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এ কারণে অতিরিক্ত সিলিন্ডার কিনে রেখেছি। গ্যাস না থাকলেই সেটা ব্যবহার করি।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সৈকত আহমেদ। তিনি থাকেন কল্যাণপুর এলাকায়।
হতাশাজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রায়ই গ্যাস থাকছে না। কতক্ষণ হোটেল থেকে কিনে খাওয়া যায়? সে কারণে ইলেকট্রিক কুকার কিনেছি। গ্যাসের সংকট দেখা দিলেই তাতে রান্না করছি। এতে অবশ্য বিদ্যুৎ বিল কিছুটা হলেও বেশি আসে। কিন্তু কিছু করার নেই।
মোহাম্মদপুরে বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন রোজিনা আক্তার। তিনি বলেন, সকালে বাসা-বাড়িতে কাজ করে এসে স্বামী-সন্তানের জন্য দুপুরের খাবার প্রস্তুত করতে সব আয়োজন করেছি। কিন্তু গ্যাস সংকটে চুলা জ্বালাতে পারছি না। একটু পরেই মেয়ে স্কুল থেকে আসবে। এ অবস্থায় বাইরে থেকে খাবার কিনে আনা ছাড়া আর উপায় নেই। টানাটানির সংসারে এটা রীতিমতো বাড়তি এক বিড়ম্বনা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোডসহ বেশিরভাগ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, শীতকালে গ্যাসের চাপ একটু কম থাকে। এ ছাড়া সম্প্রতি এলএনজি টার্মিনাল মেরামতের কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। সে কারণে সংকট তৈরি হয়। তবে দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন না বাড়ালে ভবিষ্যতে গ্যাস সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।