এদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম কালু বড়াইগ্রাম উপজেলার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। নাটোর জজ কোর্টের সরকারী কৌসুঁলি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে ২০২১ সালের ১৮ মে এ ঘটনা ঘটে।
মাদরাসার ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণির ছাত্রকে সন্ধ্যায় তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাদরাসায় যায় ওই শিক্ষক। মাদরাসার একটি কক্ষে নিয়ে ওই ছাত্রকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে।
পরে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে ওই শিশুকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় শিক্ষক আব্দুর রহিম কালু। বাড়িতে আসার পর অসুস্থ্ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার বাবাকে জানায় ওই শিশু।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। দীর্ঘদিন মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক শিক্ষক আব্দুর রহিমের উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন। আদেশে জরিমানার অর্থ শিশু পাবে বলে উল্লেখ করা হয়। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ওই শিশুর পরিবারের সদস্যরা।