এবার নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রকে ডাব পাড়তে ডেকে নিয়ে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে গুম করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ছাত্রের দু:সম্পর্কে এক চাচাকে আটক করছে পুলিশ। বাকিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিহত আব্দুল হামিদ রায়হান (১৭) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হুগলি গ্রামের হাজী বাড়ির কৃষক মো. আলমগীরের ছেলে। সে স্থানীয় খলিফার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় একই বাড়ির মো.সেলিমের ছেলে মো: মারুফকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। মারুফ দ:সম্পর্কে রাহয়ানের চাচা হন।
নিহতের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, মারুফের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তিনি কেন আমার ভাইকে হত্যা করেছে বিষয়টি আমরা জানিনা।
সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.শেখ কামাল বলেন, রায়হান বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে মারুফ ডাব পাড়ার কথা বলে তাকে বাড়ির পাশের নাপিত বাড়ির বাগানে নিয়ে যান মারুফ। এক পর্যায়ে সেখানে আরও ৩/৪ জন যুবকসহ রায়হানের চোখের ভ্রুয়ের ওপর চুরিকাঘাত ও মারধর করা হয়। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ ওই বাড়ির চৌশাগারের সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার সাথে জড়িতরা গা ঢাকা দেয়।
এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান এসআই মো.শেখ কামাল।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।