1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ের ১০ দিন আগে মেয়ের হবু বরের সঙ্গে পালালেন মা!

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
যদিও ভারতের উত্তর প্রদেশে শিবানী নামে এক তরুণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আর মাত্র ১০ দিন পর। নিমন্ত্রণপত্র ছাপানোসহ আত্মীয়-স্বজনদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ঠিক তখনই আসে এক অপ্রত্যাশিত মোড়। কারণ, শিবানীর মা তার হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের মাদরাক থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা শিবানী। তিনি জানান, তার মা অনিতা কেবল তার হবু স্বামীর সঙ্গেই পালাননি বরং বাড়িতে থাকা নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়নাও নিয়ে গেছেন।

শিবানী বলেন, ‘আগামী ১৬ এপ্রিল আমার রাহুল নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, আর আমার মা রোববার তারই সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। গত তিন-চার মাস ধরে রাহুল ও আমার মা ফোনে অনেক কথা বলতেন। আমাদের আলমারিতে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়না ছিল। মা তার কথা মতোই সবকিছু করেছেন। এমনকি ১০ টাকাও ফেলে যাননি। আমার মা আমাদের সব টাকা নিয়ে গেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন তিনি যা খুশি করতে পারেন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শুধু চাই আমাদের টাকা ও গয়না ফেরত দেওয়া হোক।’

শিবানীর বাবা জিতেন্দ্র কুমার বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করেন । জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘ফোন দিলে ব্যস্ত পেতাম, শুনেছিলাম অনিতা তার হবু জামাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে, যেহেতু বিয়ের তারিখ খুব কাছেই ছিল তাই কিছু বলিনি। এখন জানলাম, ‘ওই লোকটি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলত না, শুধু আমার স্ত্রীর সঙ্গেই কথা বলত। শুনেছি গত তিন মাস ধরে তারা প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা করে কথা বলত। গত ৬ এপ্রিল ওই লোকের সঙ্গে অনিতা পালিয়েছে এবং আমাদের সমস্ত নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে গেছে। এখন আমি স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনিতাকে বহুবার ফোন করেছিলাম, কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। আমি ওই লোকটিকেও ফোন করেছিলাম, কিন্তু সে বারবার অস্বীকার করে যে—অনিতা তার সঙ্গে আছে। কয়েক ঘণ্টা পর, অবশেষে সে বলে যে আমি নাকি ২০ বছর ধরে আমার স্ত্রীকে কষ্ট দিয়েছি এবং আমাকে তাকে ভুলে যাওয়া উচিত। এরপর তাদের দুজনেরই ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

মাদরাক থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি।’

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD