নিহতরা হলেন, উপজেলার বীর পাকুন্দিয়া গ্রামের নয়াবাড়ির বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিনের ছেলে শোভন (১৮), মধ্য পাকুন্দিয়া গ্রামের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফছর উদ্দিন মানিকের ছেলে লাম (১৭)। তারা দুইজনই পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় নাজিম (২০) নামে একজন সিএনজি যাত্রী আহত হয়েছে। সে করিমগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, কলেজ শিক্ষার্থী শোভন এবং লাম দুই বন্ধু মিলে মোটরসাইকেলে উপজেলা সদর থেকে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রোডে মির্জাপুর যাচ্ছিল। পথে বরাটিয়া নামক স্থানে পৌঁছলে একটি কুকুরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শোভন মারা যায়। আহত লামকে পাকুন্দিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘটনস্থলে কুকুরও মারা যায়।
দুর্ঘটনার সময় সিএনজিটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে ১ জন যাত্রী আহত হয়। আহত ব্যক্তি করিমগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মো. নাজিম পাকুন্দিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. মোবারক হোসেন দুই জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।