1. newstatini@gmail.com : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. admin@newstatini.com : unikbd :
সোমবার, ২০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
তালাকের পর নারীদের নজরে হিরো আলম, মেসেঞ্জারে বিয়ের প্রস্তাবের বন্যা এবার রিয়া মনিকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করার ঘোষণা হিরো আলমের ফরচুন শপিং মলে স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ হাসিনাকে গুনি নাই, তোদের মতো কর্মকর্তাদের গোনার টাইম নাই: সারজিস বিয়ের সময় খাট-সোফাও মেলেনি অপুর, আক্ষেপ জানিয়ে যা বললেন নোবেল ঘোষণার আগে ট্রাম্পের দাবি: “আমি ৮টি যুদ্ধ বন্ধ করেছি, নোবেল আমারই প্রাপ্য” খালাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন? স্বীকার করে যা বললেন পরীমণি পুলিশ পিটিয়ে দুই চাঁদাবাজকে ছিনতাই বিএনপি নেতাকর্মীদের মাশরাফিকে দেখে ‘আরও শক্তিশালী, সাহসী হয়ে উঠি’ টিকটকে ছড়িয়ে পড়েছে শাকিব খানের মৃত্যুর খবর, যা জানা গেল

ইলিয়াস-সায়ের-পিনাকীদের থামাতে মরিয়া মোদি সরকার!

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

যদিও গত ১০ মে রাতে ভারতের সরকার হঠাৎ করে একযোগে ব্লক করে দেয় চারজন বাংলাদেশি অনলাইন এক্টিভিস্ট ব্লগার এবং সাংবাদিকের ইউটিউব চ্যানেল। এরা হলেন পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সারোয়ার এবং জুলকারনাইন সায়ের। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলার রায় ছিল না, কোনো আদালতের নিষেধাজ্ঞাও ছিল না, তবে ভারতীয় সরকার একেবারে চুপচাপ তাদের চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধ করে দেয়।

পিরাকি ভট্টাচার্য ফেসবুকে লেখেন, ‘ভারতমাতা তার শত্রুদের চেনে। আর আপনারা বুঝে নিন বাংলাদেশের শত্রুরা আসলে কারা।’ সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও জানান, কিছুদিন আগে তিনি একটি নতুন চ্যানেল খুলেছিলেন, যেখানে তিনি কোনো ক্ষতিকর পোস্ট করেননি, তবুও ভারত সেটি ব্যান করে দিয়েছে।

এখন শুধু ব্যক্তি নয়, টার্গেট হয়ে পড়েছে বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভারতীয় দর্শকদের জন্য একসাথে ব্লক করে দিয়েছে যমুনা টিভি, ৭১, বাংলাভিশন, মোহনা, ডিবিসি নিউজ, সময় টিভি–সবগুলো চ্যানেলের ইউটিউব চ্যানেল। ভারত সরকার জানিয়েছে, এর পেছনে কারণ জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি একটি বিদেশী টিভি চ্যানেলের রিপোর্টে ভারতের জনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, তাহলে সেই দেশের ভেতরে আসলে কতটা অস্থিতিশীলতা বিদ্যমান?

তথ্য যাচাইকারী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিসমিস ল্যাবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় তথ্যমন্ত্রণালয় চাইলেই যেকোনো কন্টেন্ট ব্লক করতে পারে। নেটিজেনদের মতে, এই আইন এখন ব্যবহার করা হচ্ছে কণ্ঠরোধের অস্ত্র হিসেবে। বিষয়টি এমন, সত্য কথা বললেই তাকে রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে দেখানো হয়। যদি কেউ মোদিকে প্রশ্ন করে বা হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি নিয়ে কথা বলে, কিংবা বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলে, তাহলে তাকে চুপ করানোর চেষ্টা করা হয়।

এই অবস্থায়, ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের মূলনীতি সম্পর্কে বড় প্রশ্ন উঠছে। ভারতের সরকারের এই আচরণ কি গান্ধীজির অহিংসার আদর্শের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, নাকি এটা এক নতুন ভারত যেখানে বাকস্বাধীনতা ভয়ানকভাবে নিপীড়িত হচ্ছে?

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD