1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

গ্রামেও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যায় অভিযুক্তরা

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় আটক তিনজনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। এদের মধ্যে তামিম (৩০) ও পলাশ সরদার (৩০) সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা এবং অন্যজন সম্রাট মল্লিক (২৮) জেলার ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশীকর এলাকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই তিনজনই এলাকায় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিভিন্ন সময়ে। সরকার পতনের আগে তামিম ও সম্রাট গ্রামে নিজ বাড়িতেই থাকতেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে চলাফেরা করতেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ডাসার উপজেলার নবগ্রাম শশীকর এলাকার সম্রাট মাদকাসক্ত বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঝাউদি ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে তামিম ও কালাম সরদারের ছেলে পলাশ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল খাঁ ও রুবেল খাঁ গ্রুপের লোক। এদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করতেন এরা।

আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো পদ-পদবি না থাকলেও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকতেন এরা। এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এরা ঢাকায় চলে যান। পলাশের বাবা কালাম সরদার এক সময় পালকি বহন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তামিমের বাবা এলাকায় জমি বেচাকেনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। 

অন্যদিকে ডাসারের যতীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক মাদকাসক্ত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বেশ কিছুদিন আগে মসজিদের মাইক লাগানো নিয়ে এলাকায় ছাত্রদের মারধর করেন তিনি। এ নিয়ে ডাসার থানায় অভিযোগ রয়েছে সম্রাটের নামে।

ডাসার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, সম্রাটের নামে ডাসার থানায় একটি মামলা রয়েছে। তার বিষয়ে আমরা বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

ঝাউদি এলাকার স্থানীয় সাজ্জাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এরা ভালো পরিবারের ছেলে না। চাঁদাবাজি, মাদকের সঙ্গে জড়িত। আগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতার লাঠিয়াল গ্রুপের সদস্য ছিল। এখন এলাকা ছেড়ে ঢাকায় থাকে। শুনেছি ঢাকার টিএসসিসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে এই গ্রুপটি। ডাসারের সম্রাটও এই গ্রুপের সদস্য। ‘

জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি ওদের বিরুদ্ধে এখানকার থানায় কোনো মামলা আছে কিনা। ইতোমধ্যে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD