নিহত দুই ভাই হলেন—কামরুজ্জামান কাকন (২৬) ও কামরুল ইসলাম সাগর (২২)। তারা গাজীপুর মহানগরের উত্তর ভুরুলিয়ার আদর্শপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. মোশারফ হোসেন লম্বরির সন্তান।
সৌদি পুলিশের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মঞ্জু নামে এক বাংলাদেশিকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, যাকে বাহার উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করছেন মোশারফ। তার অভিযোগ, বাহারই তার দুই ছেলেকে খুনের পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন। তিনি দ্রুত দুই ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
পুলিশের বক্তব্য
পরবর্তীতে বাহার উদ্দিন ছোট ছেলে সাগরকে ভালো বেতনের চাকরির আশ্বাস দিয়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌদি পাঠান। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বাধ্য হয়ে মোশারফ আরও টাকা দেন। এরপরও সাগরকে দেওয়া হয় খাবার সরবরাহের কাজ।
পরে কানাডা পাঠানোর জন্য নেওয়া টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বাহার উদ্দিন দুই ছেলেকেই মদিনা ইউনিভার্সিটিতে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখান এবং নতুন করে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর কাকনকে সৌদি নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোনো চাকরি না দিয়ে দুই ভাইকে একটি ছোট ঘরে আটকে রাখা হয়।
বিষয়টি জানার পর মোশারফ হোসেন উমরা ভিসায় সৌদি গিয়ে ছেলে দু’জনকে দেখে আসেন। তারা তখন জানান, ডেলিভারির কাজ করতে হচ্ছে এবং খেতেও ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না।
দেশে ফেরার সময় বাহার উদ্দিন মোশারফ হোসেনকে একটি পলিথিন মোড়ানো ব্যাগ ঢাকায় পৌঁছে দিতে বলেন। ব্যাগের ভেতরে কী ছিল, তা তিনি জানতেন না। সৌদি বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে একটি পুটলি জব্দ করে। দেশে ফিরে মোশারফ হোসেন জানতে পারেন, পুটলিতে ছিল ১৩ লাখ টাকার স্বর্ণ। এরপর বাহার উদ্দিন ওই টাকা ফেরত চাইতে থাকেন এবং হুমকি দেন।
এ বিষয়ে মোশারফ গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সর্বশেষ ৯ মে ঢাকা থেকে একদল লোক এসে তাকে খুঁজতে থাকে এবং তার বাবাকে জিম্মি করে দুই ছেলেকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে পুলিশ মোশারফের বাবা আবুল কাশেমকে উদ্ধার করে।







