এবার নেত্রকোনার মদন উপজেলায় প্রতিদিনের মতো ছয় বছরের শিশু শোয়াইব প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল বাড়ির পাশে শিক্ষকের কাছে। তবে সময়মতো ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির গোয়ালে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।
সোমবার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি গ্রামের সবুল্লাহ’র ছেলে। তিনি জানান, ‘ছেলে প্রাইভেট পড়তে পাশের বাড়ি শিক্ষকের কাছে গিয়েছিল। সাড়ে ৯টার দিকে খবর আসে, তার রক্তাক্ত দেহ পাশের বনার চৌধুরীর গোয়ালে পড়ে আছে। তার দেহে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার নিষ্পাপ ছেলেকে কেন হত্যা করা হয়েছে জানি না। আমার সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। আমি এর বিচার চাই।’
নারী শিক্ষক পলাশী আক্তারের ভাষ্য, ‘প্রতিদিনের মতো শোয়াইব আমার কাছে সোমবার ভোরে প্রাইভেট পড়তে আসে। সে বইগুলো রেখে পাশের জাহাঙ্গীরের দোকানে মজা আনতে চলে যায়। দেরি হওয়ায় আমি কেজি স্কুলে চলে গিয়েছিলাম। পরে তার হত্যার খবর পাই।’
ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘শোয়াইব আমার কাছ থেকে সকালে সিগারেট কিনে নেয়। কার জন্য নিয়েছে, আমি তা জানি না।’
সোমবার সকালে গোয়াল পরিষ্কার করতে গিয়ে শোয়াইবকে শুয়ে থাকা অবস্থায় পান বলে দাবি করেন বনার চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে ধরলে কোনও সাড়া দেয়নি। ফলে চিৎকার শুরু করি। এ সময় পরিবারের লোকজন এসে তাকে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, দেওসহিলা গ্রামে শিশু শোয়াইবের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনায় মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।