১৩ জুন, পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় আগ্রাসন শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ১৬ জুন তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি-র প্রধান কার্যালয়ে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলার সময় টিভি লাইভে ছিলেন সাহার এমামি। বিস্ফোরণের পর তিনি নিরাপদ স্থানে সরে গেলেও, কিছু সময়ের মধ্যেই আবার ফিরে আসেন ক্যামেরার সামনে। তার এই আত্মত্যাগী সাহসিকতা ইরানে ব্যাপক প্রশংসিত হয় এবং আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়ে ওঠে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, ‘সাহসিকতা, প্রতিরোধ আর পেশাদারিত্বের এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন সাহার এমামি ও তার সহকর্মীরা। এই পুরস্কার ইরানি সাংবাদিকতার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সংহতির প্রতীক।’ জাতীয় সাংবাদিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সাহার এমামি ও ইসরায়েলি হামলায় নিহত আইআরআইবি কর্মীদের ‘মিডিয়া শহীদ’ আখ্যা দিয়ে তাদের সম্মাননা জানানো হয়।
পুরস্কার গ্রহণ করেন ভেনেজুয়েলায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত আলি চেগিনি। তিনি বলেন, এই পুরস্কার কেবল একজন উপস্থাপিকার নয়, পুরো ইরানি জাতির সাহস ও প্রতিরোধের প্রতীক। অনুষ্ঠানে ভেনেজুয়েলার সরকার, মিডিয়া ও সাধারণ জনগণ করতালির মাধ্যমে সাহসী সাংবাদিকতাকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানটি দেশটির একাধিক জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সূত্র : প্রেস টিভি