এতে বলা হয়েছে, অভিবাসীদের অবৈধ পথে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর হার বেড়ে যাওয়ায় তা দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকারের ওপর চাপ তৈরি করেছে। সরকার অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে কাজ করলেও কোনোভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কেবল সোমবারই অন্তত ৮৭৯ জন অভিবাসী ব্রিটেনে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটিতে অভিবাসীদের পৌঁছানোর মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯৮২ জনে পৌঁছেছে; যা এক বছর আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি।
প্রত্যেক বছর অত্যন্ত বিপজ্জনক সাগর পথে ছোট নৌকায় চেপে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন। দেশটির ভোটারদের কাছেও অভিবাসীদের অবৈধপথে পৌঁছানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকার এই মানবপাচারের পেছনে থাকা চক্র গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ব্রিটেনের সরকার বলেছে, গত বছরের জুলাই থেকে ২৪ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও নৌকায় অধিকসংখ্যক মানুষ পরিবহনে পাচারকারীদের নতুন কৌশলের কারণে সমুদ্রপথে অভিবাসীদের যাত্রা সহজ হয়েছে। গত বছর ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৭৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রাণহানি ঘটে।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের আবাসনের জন্য ব্যয়বহুল হোটেল ব্যবহারের প্রথাও বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ছোট নৌকার আগমন ঠেকাতে লেবার পার্টির ব্যর্থতায় দেশটির অভিবাসনবিরোধী ও ডানপন্থী রিফর্ম ইউকে পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। দলটি বর্তমানে জাতীয় জনমত জরিপে ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নাইজেল ফারাজ লিখেছেন, ‘‘(ছোট নৌকায় আগমনের সংখ্যা) একটি রেকর্ড এবং আমরা যদি আগতদের সবকিছু দিতে থাকি তাহলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
এর আগে, গত মে মাসে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দেশটির সামগ্রিক অভিবাসনের সংখ্যা হ্রাস করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ব্রিটেন ‘অচেনা মানুষের এক দ্বীপে’’ পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
যদিও তার এই মন্তব্যকে বিভাজনমূলক হিসেবে উল্লেখ করে অনেকে তীব্র সমালোচনা করেন। পরে তিনি এই মন্তব্যের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন