প্রায় চার বছরের নিষেধাজ্ঞার পর ২০২২ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়। তবে মাত্র সাত মাস পর ২০২৩ সালের মার্চে তৎকালীন মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা স্থগিত ঘোষণা করেন। প্রায় দুই বছর পর আবারও নিয়োগ উন্মুক্ত করা হলো। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে কলিং ভিসার কোটা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মোট ১৩টি খাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে— কৃষি, বাগান ও খনি, সার্ভিস সেক্টরের হোলসেল ও রিটেল, ল্যান্ড ওয়্যারহাউস, সিকিউরিটি গার্ডস, মেটাল ও স্ক্র্যাপ মেটেরিয়ালস, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো ও বিল্ডিং ক্লিনিং
তিনি আরও বলেন, নির্মাণ খাতে নিয়োগ কেবল সরকারি প্রকল্পে সীমিত থাকবে। আর উৎপাদন খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমআইডিএ) অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগকে।
নতুন নিয়মে এবার কেবল খাতভিত্তিক অফিসিয়াল এজেন্সিগুলো শ্রমিক নিয়োগের আবেদন করতে পারবে। আগের মতো কোনো এজেন্ট বা সরাসরি নিয়োগকর্তা আবেদন করতে পারবে না। আবেদন যাচাই শেষে অনুমোদন দেবে ফরেন ওয়ার্কার্স টেকনিকাল কমিটি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে যৌথ কমিটি।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন শ্রমিকের কোটা চালু আছে। এটি চলতি বছরের শেষ (৩১ ডিসেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এরপর থেকে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সীমিত করে কেবল দেশের মোট জনশক্তির ১০ শতাংশ পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে এ কোটায় বাংলাদেশ থেকে কতজন কর্মী আবেদন করতে পারবেন—সেটি এখনো জানানো হয়নি।