1. newstatini@gmail.com : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. admin@newstatini.com : unikbd :
মঙ্গলবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিরা কে কোথায়?

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
এবার ঢালিউডের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর আদালত তার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের নিজ ফ্ল্যাটে রহস্যজনকভাবে মারা যান তিনি। তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে পিবিআই দাবি করলেও, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে ২০২১ সালে নারাজি দিয়েছিলেন সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী। শেষে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গত ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় সালমান শাহর মামা চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর হোসেন কুমকুম বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। হত্যা মামলার এজাহারে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, শাশুড়ি লতিফা হক লুছি ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনও আছেন আসামি তালিকায়। এসব আসামি কে কোথায় আছেন সুনির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো।

এ হত্যা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, শাশুড়ি লতিফা হক লুছি, বিতর্কিত ব্যবসায়ী অলিম্পিক ইন্ড্রাস্ট্রিজের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল হক ওরফে ডন। ডেভিড, জাভেদ ও ফারুক নামের তিন জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রাজধানীর বিএফডিসি। এছাড়া আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- ফরিদপুরের রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, রুবী, আ. ছাত্তার ও সাজু।

মামলা পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৩ অক্টোবর আদালতে শুনানির সময় এ প্রথম উপস্থিত ছিলেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক। এর এক সপ্তাহ পরই আদালতের নির্দেশে রাজধানীর রমনা থানায় হত্যা মামলাটি করা হয়।

প্রশ্ন উঠেছে- আসামিরা এখন কে কোথায় আছেন? অনেক আগে থেকেই ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। আসামি রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ অবস্থান করছেন লন্ডনে। সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, তার মা লতিফা হক লুছি ও অপর খলনায়ক ডন দেশেই অবস্থান করছিলেন। ১৩ অক্টোবর আদালতেও উপস্থিত ছিলেন সামিরা। তবে ২০ অক্টোবর আদালত থেকে হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ দিলে তারা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অন্য আসামিদের অবস্থান এখনও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পুলিশ।

মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের চারটি সংস্থা। প্রথমে রমনা থানার এসআই মাহবুবুর রহমান এ মামলার তদন্ত করেন। পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন মামলাটি পর্যায়ক্রমে ডিবির দুই কর্মকর্তা তদন্ত করেন।

তারা হচ্ছেন- সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ুন কবীর ও এএসপি মো. মজিবুর রহমান। এরপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এএসপি খালেক-উজ-জামান। এরপর আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করে। এ সংস্থায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ইন্সপেক্টর মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুল। এ তদন্তে তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন পিবিআইর পুলিশ সুপার শফিউল আজম ও বশির আহমেদ। প্রত্যেকটি সংস্থার প্রতিবেদনেই চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ওরফে ইমন ওরফে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়।

সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাটির জুডিসিয়াল (বিচারিক) তদন্তও করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টের বিচারক ইমদাদুল হক মামলাটির জুডিসিয়াল তদন্ত করেন। তার তদন্তেও তখন একই চিত্র উঠে আসে।

গত ২১ অক্টোবর হত্যা মামলার পর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে রমনা থানার ইন্সপেক্টর আতিকুল আলম খান্দকারকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন করে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। পাশাপাশি আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

আসামিরা দেশে আছেন, নাকি দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জানলে তো ধরেই ফেলতাম। তারা কে কোথায় আছেন, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। আসামিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে জন্য ইমিগ্রেশনে মামলার তথ্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD