1. newstatini@gmail.com : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. admin@newstatini.com : unikbd :
সোমবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

‘আমার হাজবেন্ড সালমান শাহকে খুন করাইছে আমার ভাইরে দিয়া’

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

 

 

যদিও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সালমানের বাবা একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। শুরু থেকেই সালমানের পরিবার দাবি করে আসছে, এটা হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার ২১ বছর হতে চলেছে। কিন্তু এখনো ধোয়াশা থেকে গেছে সালমানের মৃত্যুরহস্যে। স্পষ্ট হয়নি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, না তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ওরফে সালমানকে হত্যার দায় স্বীকার করে রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ নামের এক তরুণ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দির ভিত্তিতে সালমানের মা হত্যার অভিযোগে ১১ জনকে আসামি করে আদালতে নালিশি মামলা করেন। ওই ১১ আসামি হলেন সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, শাশুড়ি লতিফা হক লুসি, ধনাঢ্য আজিজ মোহাম্মদ ভাই, রেজভী আহমেদ ফরহাদ, চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন, নজরুল শেখ, ডেভিড, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ এবং সালমানের বাসার গৃহকর্মী আবুল হোসেন খান।

সালমানকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে রেজভী আহমেদ যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ওই রাতে ডনের নেতৃত্বে সালমানের বাসায় গেলে নিচতলার একটি দরজা খুলে দিয়েছিলেন রুবি। তার ঘর থেকে আজিজ মোহাম্মদ ভাই বের হয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। ইস্কাটনে যে ভবনে সালমান থাকতেন, তার সামনে মে ফেয়ার বলে একটি বিউটি পারলার চালাতেন প্রতিবেশি রুবি। তার চীনা স্বামী রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতেন।

২০১৭ সালে ইউটিউবে ছাড়া ভিডিওতে রুবি বলেছেন, সালমানকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই খুনের বিষয়ে আমি সব জানি। যেভাবেই হোক আবার যেন মামলা তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। আমি যেমন করেই হোক আদালতে সাক্ষ্য দেব।’ ভিডিওতে সালমানের মাকে উদ্দেশ করে তিনি বারবার বলেছেন, ‘ইমন আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হইছে।

নীলা ভাবি, প্লিজ, কিছু একটা করেন, কিছু একটা করেন।…আমার হাজব্যান্ড এইটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে।…সামিরার ফ্যামিলি করাইছে…। আমার ছোট ভাই রুমিরে দিয়া খুন করানো হইছে। রুমিরেও খুন করা হইছে। আমি জানি না রুমির কবর কোথায় আছে। রুমির লাশ যদি কবর থেকে তুলে ঠিকমতো আবার পোস্টমর্টেম করে, তাহলে দেখা যাবে যে ওরা গলা টিপে মাইরা ফেলছে।…ওরা আমারেও খুন করার চেষ্টা করছে। এই কেস যেন না শেষ হয়।’

সে সময়ে মামলাটির তদন্ত সংস্থা পিবিআইর বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সালমান শাহের বিউটিশিয়ান হিসেবে ছিলেন রুবি। সালমানের বাসায় প্রায়ই যেতেন। ঘটনার আগে-পরে ওই বাসাতেই তার অবস্থান ছিল। সালমান মারা যাওয়ার পরে রুবি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। আমরা তাকে খোঁজার ব্যাপক চেষ্টা করেছি। অনেক দিন পরে তাকে পেলাম ইউটিউবে। তবে তার কথাগুলো যাচাই করে দেখতে হবে তা কতটা সত্য আর কতটা মিথ্যা। আবার এমনও হতে পারে কেউ তাকে দিয়ে বলাচ্ছে। এসবই তদন্তের বিষয়।’

যোগাযোগ করা হলে লন্ডনে অবস্থানরত সালমান শাহর মা নিলুফার চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তার এ বক্তব্যের পরে বলার আর কোনো অপেক্ষা রাখে না যে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছিল। আমি জানতাম এই দিনটা আমার আসবে। রুবি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় আছে। তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হোক। আর রুবি যাদের নাম বলেছে, তাদের এখনই গ্রেপ্তার করা হোক।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিচার চাই। এত বছর আমি হতাশায় ভুগছি। দেশে আমারও নিরাপত্তা নেই। যার কারণে আমি লন্ডনে আছি।’

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD