* নিরাপদ অভিবাসনে ইতালির সঙ্গে সহযোগিতাকারী দেশের কর্মীদের
* ইতালীয় বংশোদ্ভূত ভেনেজুয়েলা ও অন্যান্য দেশের কর্মীদের
* শরণার্থী ও রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের
* পারিবারিক যত্ন ও সামাজিক স্বাস্থ্য সহায়তাকারীদের
নতুন যেসব সুবিধা যোগ হয়েছে
* নিয়োগে নতুন নতুন খাত অন্তর্ভুক্ত
* উৎস দেশে বাড়তি প্রশিক্ষণ সুবিধা
* নিয়মিত ও নিরাপদ অভিবাসনের জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি
* উচ্চ দক্ষ কর্মীদের জন্য প্রণোদনা
* শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ পারমিটকে ওয়ার্ক পারমিটে রূপান্তরের সুযোগ
* ডিজিটাল ব্যবস্থায় দ্রুত আবেদন প্রক্রিয়া
অভিবাসী কর্মীকে নিয়োগ দিতে চাইলে তার আবেদন করতে হবে নিয়োগকর্তাকেই। ভারত, শ্রীলঙ্কা, মরক্কো, আলজেরিয়া, সেনেগাল, পেরু, টিউনিশিয়া ও ইউক্রেনসহ বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ইতালির অভিবাসন সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে। এসব দেশের নাগরিকরা অগ্রাধিকার পাবেন।
মৌসুমি কর্মীদের জন্য নির্দেশনা
মৌসুমি কর্মীরা সাধারণত অস্থায়ী কাজের জন্য ইতালিতে যান—যেমন কৃষিকাজ (ফসল কাটা, রোপণ), বা পর্যটন খাত (হোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ)।
প্রাধিকার পাবে—
* ইতালি–চুক্তিবদ্ধ দেশের নাগরিকরা
* গত পাঁচ বছরে ইতালিতে কাজ করা মৌসুমি কর্মীরা
* কৃষি ও পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞ কর্মীরা
আগে কাজ করে থাকলে কয়েক বছরের মৌসুমি পারমিটও পাওয়া যেতে পারে।
ইতালিতে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য সুযোগ
২০২৬–২০২৮ সালের ফ্লো ডিক্রিতে অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্যও বিশেষ সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে—
* প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি ও শরণার্থী
* পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে পারমিট পরিবর্তন করতে ইচ্ছুকরা
* পারিবারিক যত্ন, বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী সহায়তাকারী কর্মীরা
* চুক্তিবদ্ধ দেশের নাগরিকরা
যাদের কাগজপত্র নেই, কিন্তু গৃহস্থালি ও পরিচর্যার কাজে নিযুক্ত, তাদের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা আবেদন করলে সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
নিয়োগকর্তাদের করণীয়
নিয়োগকর্তাদের ২৩ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন প্রস্তুত করতে হবে এবং নির্ধারিত ক্লিক-ডে অনুযায়ী জমা দিতে হবে—
১২ জানুয়ারি: কৃষিখাতে মৌসুমি কর্মী
৯ ফেব্রুয়ারি: পর্যটনখাতে মৌসুমি কর্মী
১৬ ফেব্রুয়ারি: চুক্তিবদ্ধ দেশের অ-মৌসুমি কর্মী
১৮ ফেব্রুয়ারি: অন্যান্য অ-মৌসুমি কর্মী
মজুরি, বাসস্থান ও কর্মীর প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে আবেদন জমা দিতে হবে। নির্ধারিত শর্ত না মানলে আবেদন বাতিল হবে।
প্রতারণা ও জালিয়াতির ঝুঁকি
পাচারবিরোধী হটলাইন ২০২৪ সালকে ‘প্রতারণার বছর’ বলে উল্লেখ করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ফ্লো ডিক্রিকে কেন্দ্র করেই প্রতারণা হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা ভিসা বা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অভিবাসীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে—টাকা পাওয়ার পর তারা গায়েব হয়ে যায়।
তিউনিশিয়া, মরক্কো, ভারত ও মিসর থেকে আসা কমপক্ষে ১৩৯ জনকে এভাবে প্রতারিত করা হয়েছে—যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এই ধরনের জালিয়াতি অভিবাসীদের শ্রম শোষণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।