যদিও অবশেষে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দলের সভাপতি নুরুল হক নুরকে মন্ত্রিত্বসহ চারটি বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে সমঝোতা সত্ত্বেও গণঅধিকার পরিষদ তাদের নিজস্ব প্রতীক ট্রাক নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
আবু হানিফ বলেন, ‘আমাদের সাথে বিএনপির সমঝোতা হয়েছে দুটি আসনের। এ ছাড়াও আমাদের দলীয় প্রধান নুরুল হক নুরকে মন্ত্রীত্ব এবং উচ্চকক্ষে একটি আসন ও সংরক্ষিত একটি নারী আসন দেওয়ার সমঝোতা হয়েছে। আমরা ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করব। ৩০০ আসনে আমাদের প্রার্থী থাকবে। সবাই ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
গণঅধিকার পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল আরও জানান, ফ্যাসিবাদ পতনে যুগপৎ আন্দোলনের অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সভাপতি নুরুল হক নুরের সংসদীয় আসন পটুয়াখালী-০৩ এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের আসন ঝিনাইদহ-০৪-এ কোনো প্রার্থী দেবে না বিএনপি। এই সিদ্ধান্তের জন্য বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদ।
তিনি আরও বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলীয় প্রতীক ট্রাক নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এটিকে নির্বাচনী জোট হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
তথ্য মতে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭২টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮টি আসন সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে গতকাল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই চারটি আসন হলো সিলেট-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, নীলফামারী-১ ও নারায়ণগঞ্জ-৪। আজ আরও ১০টি আসন শরিকদের দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শরিকদের মধ্যে যারা এখনো বিএনপিতে যোগ দেননি, তারা নিজ দলের প্রতীকে প্রার্থী হবেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি যেসব আসন শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে, সেখানে দলের কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।