1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

জ্যাকসের সেঞ্চুরির পর মঈনের হ্যাটট্রিক, রেকর্ডের ম্যাচে কুমিল্লার বড় জয়

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উইল জ্যাকসের ঝড়ো সেঞ্চুরির পর মঈন আলীর হ্যাটট্রিক। ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের রেকর্ড সংগ্রহ। এতকিছুর দিনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লা।

আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা কুমিল্লা জ্যাকসের ব্যাটিং তাণ্ডবে বিপিএল ইতিহাসে রেকর্ড সংগ্রহ পায়। চলতি আসরের ২৯তম ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করে কুমিল্লা। রংপুর রাইডার্সের রেকর্ডে ভাগ বসায় কুমিল্লা। ২০১৯ আসরে চিটার্গ ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।

তিন দিন আগে মিরপুরে মৌসুমের প্রথম দলীয় দুইশ রান করে রংপুর রাইডার্স। এই চট্টগ্রামের বিপক্ষেই সেই ম্যাচে দুশর দেখা পায়। তারও একদিন আগে অবশ্য দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন কুমিল্লার তাওহীদ হৃদয়। এবার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন ইংল্যান্ড তারকা জ্যাকস।

২৪০ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নামে শুরুটা ভালো করে চট্টগ্রামও। ৭.৩ ওভারে ৮০ রান তোলেন জশ ব্রাউন ও তানজিদ হাসান। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ২৪ বলে ৪১ রান করা তানজিদকে জ্যাকসের ক্যাচে ফেরান। তানজিদ ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। এরপর ব্রাউনও দ্রুত ফিরে যান। রিশাদ হোসেনের বলে আউট হওয়া ব্রাউন ২৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ করেন।

এরপর সৈকত আলী ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই চট্টগ্রামের হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। মঈনের শিকার সৈকত মাত্র ১১ বলে একটি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৬ করেন। মঈন শেষ ওভারে শহীদুল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন ও বিলাল খানকে আউট করে হ্যাটট্রিকর পূরণ করেন।

কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে মঈন ও রিশাদ ৪টি করে উইকেট ভাগ করেন নেন।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ঝড় তোলেন লিটন দাস ও জ্যাকস। তারা ৭.৫ ওভারে ৮৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। শহীদুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে অধিনায়ক লিটন ৬০ রান করেন। তিনি মাত্র ৩১ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান।

মাঝে তাওহীদ হৃদয় ও ব্রুক গাস্টকে দ্রুত হারায় কুমিল্লা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে মঈন আলীর সঙ্গে ফের জুটি গড়েন জ্যাকস। তারা ৫৩ বলে ১২৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে অপরজিত থাকেন। ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা জ্যাকস শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৫টি চার ও ১০টি ছক্কায় ১০৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। আর মঈন ২৪ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

চট্টগ্রামের বোলার শহীদুল ইসলাম ২টি উইকেট দখল করেন।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD