বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে আইসিসি এই শাস্তির ঘোষণা করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসিবির ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি ধারা ভাঙার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রিজওয়ান।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসিবি পক্ষ থেকে ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালসহ মতো আট জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের আবু ধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতির অভিযোগ আনে আইসিসি। ওই আট জনের একজন বাংলাদেশের স্পিনিং অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ছিলেন। যাকে গত মাসে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এবার বড় শাস্তি পেলেন রিজওয়ান। আনিত অভিযোগগুলো যুক্তরাজ্যের এই ক্লাব ক্রিকেটার স্বীকার করে নিয়েছেন এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন। রিজওয়ানের এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ইন্টেগ্রিটি অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটারদের দুর্নীতির চেষ্টার জন্য রিজওয়ান জাভেদকে ক্রিকেট থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের দেওয়া দ্বিতীয় দীর্ঘতম নিষেধাজ্ঞা এটি। এর আগে ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট অফিসিয়াল রাজান নায়ারকে ২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ২০২১ আবুধাবি টি-১০ ম্যাচে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে।
রিজওয়ান জাভেদ ছাড়াও আরও কয়েকজন বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত আছেন। কৃষ্ণ কুমার চৌধুরী (একটি দলের সহ-মালিক) পরাগ সাংভি (একটি দলের সহ-মালিক) আশার জাইদি (ব্যাটিং কোচ) সালিয়া সামান (ঘরোয়া খেলোয়াড় সংযুক্ত আরব আমিরাত) সানি ধিল্লন (সহকারী কোচ) নাসির হোসেন (বাংলাদেশ খেলোয়াড়) এবং শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার)।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস