জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলটির হয়ে ভাল খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স ও বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। শুরুতেই বরিশালের দুই ওপেনার সেট হয়ে ফিরে যান। অধিনায়ক তামিম খেলেন ১৯ রানের ইনিংস। নিজ দেশের লিগ পিএসএলে দল না পাওয়া আহমেদ শেহজাদ ১৭ রান করেন।
তিনে নামা কাইল মেয়ার্স ৩১ বলে খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। এছাড়া পাঁচে নামা মুশফিকুর রহিম ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকেও তিনটি করে চার ও ছক্কার শট আসে। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ১২ ও মেহেদী মিরাজ ১৫ রান করেন। সিলেটের তানজিদ সাকিব ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
১৮৪ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই টালমাটাল সিলেট। স্কোরবোর্ডে কোনো রান তোলার আগেই বিদায় নেন হ্যারি টেক্টর ও জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জাকির হাসানও সুবিধা করতে পারেননি। অ্যাঞ্জেলো পেরেরা, মোহাম্মদ মিঠুন, রায়ান বার্লরা ব্যর্থতার পরিচয় দিলে চাপ বর্তায় বেনি হাওয়েল ও আরিফুল হকের কাঁধে। সপ্তম উইকেটে ৫২ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩১ বলে ৫৭ রান করে আরিফুল আউটের পর শেষ ওভারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে বেনি হাওয়েলকে ফেরান সাইফউদ্দিন। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৩ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৬৫ রানে থামে সিলেট।
১০ ম্যাচের ছয়টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে জায়গা পাকা করেছে বরিশাল। ১০ ম্যাচের ৮টিতে জিতে সবার আগে প্লে-অফে উঠেছে রংপুর, ৯ ম্যাচের সাতটিতে জিতে রংপুরের পথেই আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।