1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
শনিবার, ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
২৫শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনামঃ
‘আমাকে এই আলিম নামের জালিম থেকে আল্লাহর ওয়াস্তে বাঁচান’ ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে আবারও হবে রেমিট্যান্স শাটডাউন:প্রবাসীদের হুঁশিয়ারি সন্ধ্যায় যমুনায় যাওয়া নিয়ে যা জানাল বিএনপি জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি মৃত্যু ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে যেসব সংকটে পড়তে পারে দেশ হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার লিগ্যাল নোটিশ বিএনপি – জামায়াতকে যমুনায় আমন্ত্রণ ড. ইউনূসকে জাতীয় সরকার ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ, “মার্চ ফর ডক্টর ইউনূস” কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছাত্র-জনতার বিপ্লবী সরকার গঠনের ঘোষণা, ড. ইউনূসের পাশে থাকার প্রত্যয় এনসিপি নেতার ‘পেটে চাইনিজ কুড়াল ঠেকিয়ে বলে যা আছে, সব দে’

অনলাইনে ভিডিও দেখে গামছা বিক্রেতার ছেলের মেডিকেলে চান্স

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইউটিউব থেকে টিউশন নিয়ে পড়ে মেডিকেলে চান্স পেলেন সাব্বির। তার বাবা ফিরোজ গ্রামেগঞ্জে ফেরি করে গামছা বিক্রি করেন। চান্স পেলেও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় কাটছে তার দিন। সাব্বিরের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দামোদরকাঠী গ্রামে।

ফিরোজ জানান, পৈতৃক ১২ শতাংশ জমির ওপরে আমার বাড়ি। এছাড়া আমার কোনো সম্পত্তি নেই। দুই সন্তান আর স্ত্রী নিয়ে এই বাড়িতে থাকি। সাধারণত অন্যের জমিতে কাজ করি। এছাড়া হাটে লুঙ্গি-গামছা বিক্রি করে যা পাই তাতে সংসার চলে। আমার ছেলে সাব্বির প্রাথমিক স্কুল থেকেই খুব মেধাবী। আর ২০২১ সালে হস্তিশুন্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায়।

২০২৩ সালে সরকারি গৌরনদী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পায়। ওর ইচ্ছায় ধার-কর্জ করে ওকে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় পাঠাই। ও কোনোদিন কোচিংয়ে পড়েনি। এবার পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। কিন্তু ওকে ভর্তি করানোর টাকা নেই আমার কাছে। ভর্তিতে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা দরকার। আমার ছেলের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন এখন ভর্তিতেই আটকে আছে বলে জানান সাব্বিরের বাবা।

সাব্বির বলেন, ৬৭ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে আমি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছি। আমার পরিবারের অসচ্ছলতায় কোনো কোচিংয়ে পড়ার সুযোগ ছিল না। আমার ছোটবোন তার স্কুল থেকে একটি ট্যাব উপহার পেয়েছিল। সেটি দিয়ে অনলাইনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ধারণা নিয়েছি। মূলত ইউটিউব থেকে টিউশন নিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। পরীক্ষায় আমি ৪ হাজার ৭৪১তম হয়েছি। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন, যাতায়াত সবমিলিয়ে আব্বা একটি এনজিও থেকে ৫ হাজার টাকা ঋণ করে এনেছিলেন। সেই টাকা এখনো শোধ করা হয়নি জানান সাব্বির।

উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া সাব্বির খানের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তার ভর্তির বিষয়ে আমাদের আন্তরিকতা আছে। ভর্তির ব্যাপারে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়কে সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD