জাতিসংঘে আলজেরিয়ার দূত আমার বেন্ডজামা ভোটের আগে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছিলেন, এই খসড়া প্রস্তাবে ভোট হলো ফিলিস্তিনিদের জীবনের অধিকারের প্রতি সমর্থন। বিপরীতে, এর বিরুদ্ধে ভোটদান তাদের ওপর নৃশংস সমন্বিত সহিংসতা ও শাস্তির প্রতি সায় দেওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড শনিবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এই খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিতে পারে। তার মতে, এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ইসরায়েল ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধে বিরতি ও হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করার আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নিজেই একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। এতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সব জিম্মিদের মুক্তির শর্তের কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে কি-না, কিংবা হলে কবে হবে তা জানা যায়নি। এছাড়া রাশিয়া এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, তাদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।
আলজেরিয়ার খসড়ায় যুদ্ধবিরতির সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি যুক্ত করা হয়নি।
ভোটের পর ব্রিটেনের জাতিসংঘ দূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, এই খসড়া প্রস্তাবের মতো শুধু যুদ্ধবিরতির আহ্বানে কাজ হবে না। লড়াই বন্ধ এবং পুনরায় তা শুরু হওয়া ঠেকানোর উদ্যোগের শুরুর উপায় হলো জিম্মিদের মুক্তি ও ত্রাণের প্রবেশসহ একটি বিরতি।
৭ অক্টোবরের পর জাতিসংঘে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদের দুটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে দুটি ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত ছিল দেশটি।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৯ হাজার ৯২ জন নিহত এবং প্রায় ৭০ হাজার জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন।