প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য বিরাট চক্রান্ত ছিলো। তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলো যাতে কোনভাবেই নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হতে না পারে।
আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবন গণভবনে তিনি তাঁর সাম্প্রতিক জার্মানি সফর এবং মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচন যাতে না হয়। নানা অস্থিরতা সৃষ্টি করে সরকার পতনের পরিকল্পনা ছিল তাদের। এখনো আছে। যারা জিনিস জমিয়ে রেখে পচিয়ে ফেলে দেয়, তাদের গনধোলাই দেয়া উচিত।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিশ্বনেতাদের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি, এ নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তিনি জানান, প্রত্যেক দেশের সাথে উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি।
জার্মানিতে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে দেশটিতে গিয়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই ছিল শেখ হাসিনার প্রথম সরকারি বিদেশ সফর। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মিউনিখে পৌঁছান।
জার্মানিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি বৈঠক করেন বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আলথানি ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সভেনজা শুলজের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।