ঈশানীর কথায়, শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যার ফল হবে ভয়াবহ। শুধু তাই নয়, ডিহাইড্রেশনের কারণে হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে শরীরে টক্সিসিটি বৃদ্ধি সহ একাধিক জটিলতার আশঙ্কাও বাড়ে। এ কারণে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতেই হবে।
খাওয়ার আগে না পরে পানি পান করা উচিত?
ঈশানীর কথায়, খাওয়ার আগে বা পরে পানি পান করায় কোনো বাধা নেই। তবে সেক্ষেত্রে ঘড়ি ধরে পানি পান করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অর্থাৎ, খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে পানি পান করুন। এই নিয়মটা মেনে চললেই বেশি উপকার পাবেন।
বিশেষ করে, যাদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি, তারা অবশ্যই খাওয়ার আগে পানি পান করুন। এই কাজ করতে পারলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ঠিক একইভাবে, খাওয়ার ৩০ মিনিট পর পানি পান করলে হজম ক্ষমতা বাড়বে। এমনকী কোষ্ঠকাঠিন্যসহ একাধিক পেটের সমস্যা কমবে।
খাওয়ার সময় পানি নয়
অনেকেই খাওয়ার একদম আগে-পরে বা খাওয়ার সময়ই অল্প অল্প করে পানি পান করেন। পুষ্টিবিদ ঈষানীর ভাষায়, এই সময় পানি পান করলে পেটে উপস্থিত অ্যাসিড নিজের কাজটি ঠিকমতো করতে পারে না। ফলে খাবার সহজে হজম হতে চায় না। এই কারণেই গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমসহ একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।