রবিবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ম্যাচ শুরু হয়। এরপর সপ্তম ওভার থেকে একাদশ ওভারের মধ্যেই তিন দফায় খেলা বন্ধ হয়। এতে ম্যাচের দৈর্ঘ্যই কমে গেল অর্ধেক। শেষ পর্যন্ত টি-টেনে ম্যাচ গড়ায়।
ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ১০.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৮ রান তোলার পর বৃষ্টিতে শেষ হয়ে যায় ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ ওভারে ১২৬। উইকেট কেবল ৩টি হারালেও কিউইরা যেতে পারে ৯৮ পর্যন্ত। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৬ উইকেটে, পরেরটিতে ৭২ রানে।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। ট্রেন্ট বোল্টের ওভারে ট্রাভিস হেডের টানা তিন বাউন্ডারিতে শুরু হয় ম্যাচ। স্টিভেন স্মিথ শুরু করেন অ্যাডাম মিল্নকে বাউন্ডারিতে। তবে এক বল পরই বাড়তি লাফানো ডেলিভারিকে স্মিথকে ফিরিয়ে দেন মিল্ন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া দলে ওপেনার হিসেবে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে থাকা ব্যাটসম্যান এই সিরিজে দুই ইনিংসে করতে পারলেন ১১ ও চার। বিশ্বকাপ দলে জায়গার লড়াইয়ে থাকা আরেক ক্রিকেট ম্যাথু শর্ট অবশ্য নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখান। বোল্টকে ছক্কা ও চারে শুরু করেন তিনি। পরে টানা দুটি ছক্কা মারেন মিল্নকে।
হেড দুই দফায় জীবন পান। দুবারই দুর্ভাগা বোলার ছিলেন বেন সিয়ার্স। এই সিয়ার্সকেই পরে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন হেড। সিয়ার্স পরে কিছুটা স্বস্তি পান ১১ বলে ২৭ রান করা শর্টের উইকেট নিয়ে। দুই দফায় বেঁচে গিয়ে হেড শেষ পর্যন্ত বিদায় নেন ৩০ বলে ৩৩ করে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলে জীবন পান। যদিও সুযোগটি কঠিন ছিল অনেক। মার্ক চ্যাপম্যানের হাত ফসকে বাউন্ডারিতে যায় বল।
ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে বৃষ্টি-বিরতির আগে-পরে মিলিয়ে আসে ৯ বলে ২০। ক্রিজে যাওয়ার পরপর ছক্কা মারেন টিম ডেভিড ও জশ ইংলিসও। তবে তাদেরকে আর এগোতে দেয়নি বৃষ্টি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসও শেষ ওখানেই।
নিউজিল্যান্ডের ডিএলএস পদ্ধতিতে লক্ষ্য হয়ে পড়ে আরেকটু কঠিন। সেই রান তাড়ায় যেমন বিস্ফোরক শুরু প্রয়োজন, তা পায়নি তারা। ৭ বলে ১৪ করে আউট হয়ে যান উইল ইয়াং, আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন করেন ৯ বলে ১৩। তিনে নেমে টিম সাইফার্ট করতে পারেন কেবল ৫ বলে ২ রান।
এরপর গ্লেন ফিলিপস দ্রুত রান তুললেও তা যথেষ্ট হয়নি পরিস্থিতির বিচারে। আরেকপ্রান্তে মার্ক চ্যাপমান তো ধুঁকছিলেন। কৃতিত্ব দিতে হবে স্পেন্সর জনসন ও ন্যাথান এলিসকে। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কিউইদের চাপে ফেলে দেন তারা। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন ফিলিপস। ১৫ বল খেলে চ্যাপম্যান করতে পারেন কেবল ১৭ রান। দলের রান তাই একশও ছুঁতে পারেনি।
কার্যকর ইনিংসের পর বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ ম্যাথু শর্ট। শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থেকেও সিরিজে ৯৮ রান করে ও ২ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
দুই দল এখন খেলবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথমটি ওয়েলিংটনে বৃহস্পতিবার থেকে, পরেরটি ক্রাইস্টচার্চে ৮ মার্চ থেকে।