সেঞ্চুরি পেতে শেষ ওভারে জেমস নিশামের দরকার ছিল ২৯ রান, স্ট্রাইকে তিনিই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার মুশফিক হাসানের করা ওভারের প্রথম ৫ বলেই ব্যক্তিগত ২৬ রান করে ফেলেন নিশাম। তবে শেষ বলে প্রয়োজনীয় ৩ রান করতে পারেননি তিনি। নিজে সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়লেও দলকে ঠিকই এনে দিয়েছেন পাহাড়সমান সংগ্রহ। ‘কম রান হওয়া’ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পিচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করেছে রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে এদিন শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। ২৭ রান তুলতেই ফেরেন শুরুর ৩ ব্যাটার শামীম হোসেন পাটোয়ারি, রনি তালুকদার ও সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে ওপেনিংয়ে নামা শামীম রানের খাতাই খুলতে পারেননি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আসে মাত্র ৩৫ রান।
এরপর প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে ওঠার চেষ্টা করেন শেখ মেহেদী হাসান ও জেমস নিশাম। তবে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি মেহেদী। দলীয় ৬৬ রানে তিনি ফিরলে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি। ১৭ বলে ২২ রান আসে মেহেদীর ব্যাট থেকে। তবে চার-ছক্কায় দারুণ খেলতে থাকেন নিশাম।
রংপুর তাদের দলীয় শতরান পূর্ণ করে ১২ ওভার ৫ বলে। এর পরপরই আউট হয়ে যান নিকোলাস পুরান। তার পরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা নিশাম ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন ৩১ বলে। ষষ্ঠ উইকেটে তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন নুরুল হাসান সোহান। রংপুর অধিনায়ক শুরুতে ধীরগতিতে খেললেও পরে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ফোটান। ১৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৫৭ রানের মাথায় সোহান ফিরলে ভাঙে জুটি। ততক্ষণে ৩৬ বলে যোগ হয় ৫৩ রান। ২৪ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করেন সোহান। তবে ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ঝড় বইয়ে দিয়েছেন নিশাম। ৪৯ বলে প্রায় দুইশ স্ট্রাইকরেটে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকার ম্যাচে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। তাতে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহই পায় দল।
কুমিল্লার হয়ে দুর্দান্ত বল করেন সুনীল নারাইন। একটি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দেন এই ক্যারিবিয়ান। সমান ওভারে ৩৭ রান দেওয়া আন্দ্রে রাসেলের শিকার ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন রোহানাত দৌলাহ বর্ষণ, তানভীর ইসলাম ও মুশফিক হাসান। তরুণ মুশফিক ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৭২।