1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
সোমবার, ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সাকিব না তামিম—কে যাবেন ফাইনালে

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
কে যেন হঠাৎ নাড়া দিয়ে গেল। কিছু হলেই ভক্ত-সমর্থকেরা ফিরে যান পুরোনো দিনগুলোতে। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের পুরোনো দিনের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণা করেন। অনেকে আবার দুই তারকার পুরোনো ফেসবুক পেজের পোস্টে গিয়ে লাইক-কমেন্ট করে আসেন। গত রাতেও তেমনটা আরেকবার দেখা গেল।

২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর তামিমের অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে কে যেন আবারও নাড়া দিল। আর তাতে আবারও ভক্ত-সমর্থকদের লাইক-কমেন্ট! হবেই না বা কেন? আবারও যে মুখোমুখি সাকিব-তামিম! এখন তাঁরা মোটেও বন্ধু নন, শত্রু। সে ব্যক্তিগত জীবনে হোক বা বিপিএলে। আগামীকাল মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে একজন চাইবেন আরেকজনকে কাঁদিয়ে বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করতে।

ফাইনালে কে যাবেন মনে হয়? সাকিবের রংপুর রাইডার্স, না তামিমের ফরচুন বরিশাল—০১ মার্চ শিরোপার জন্য হ্যাটট্রিক ফাইনালে ওঠা লিটন দাসদের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ‘গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?’ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে তামিম-সাকিবের শত্রুতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেটি এবারের বিপিএলে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। প্লে অফের আগে দুজন যে শেষবার মুখোমুখি হলেন, সেখানে কী হয়েছে সেটি এখন সবার জানা।

নিজের প্রথম স্পেলের প্রথম বলেই তামিমকে বোকা বানিয়ে সাজঘরে ফেরানোর পর মুমিনুল হকের সঙ্গে সাকিবের উচ্ছ্বসিত উদ্‌যাপন যে বরিশাল অধিনায়কের মোটেও পছন্দ হয়নি সেটি তো পরের ইনিংসে দেখা গেছে। সাকিব বাউন্ডারিতে যখন ক্যাচ হলেন, তখন তাঁর উদ্‌যাপন তামিম যেভাবে ব্যঙ্গ করলেন, সেটিই পরে হয়ে ওঠে ‘টক অব দ্য বিপিএল’। আগামীকাল কি তেমন আরেকটি ‘যুদ্ধংদেহী’ ভাব দেখা যাবে? সাকিব ও তামিম ভক্তরা তাই চাইবেন নিশ্চিত। সে কারণেই হয়তো তামিমের পুরোনো পোস্টে এমন নাড়া দেওয়া। কী লেখা সেখানে?—‘তামিম ইকবাল বনাম সাকিব আল হাসান! দ্য শো মাস্ট গো অন! বিপিএল #চট্টগ্রাম ভাইকিংস।’

নিশ্চয় আর বলে দিতে হচ্ছে না, কী হয়েছিল সেবার। চট্টগ্রামের ছেলে তামিম অবশ্য এবার বরিশালের নেতৃত্বে। গতকাল দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের টিকিট। লক্ষ্য তাড়ায় তামিম ৪৩ বলে খেলেন ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস। বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৩৭৩ রান সংগ্রাহক এবারের সংস্করণেও আছেন দারুণ ছন্দে। ১৩ ইনিংসে ৪৪৩ রান করে দ্বিতীয় স্থানে তিনি। এবারের বিপিএল দিয়ে যেন শরীর থেকে মেদ ঝাড়ার মতো অনেক সমালোচনাও ঝেড়ে ফেললেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

চোখের কারণে সাকিব প্রথম কয়েক ম্যাচে শুধু বলই করেছেন। তার জন্য শুনতে হয়েছে সমালোচনাও। তবে স্বরূপে ফিরতে সময় লাগেনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। দলকে বেশ কয়েকটি জয় এনে দিয়েছেন সাকিব। কিন্তু গতকাল তামিমের জ্বলে ওঠার দিনে তিনি ছিলেন ছায়া হয়ে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লার বিপক্ষে কিছুই করতে পারেননি। পুরোনো ও প্রিয় ব্যাটিং পজিশন তিনে নামলেও করেছেন মাত্র ৫ রান। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিতে পারেননি কোনো উইকেট। তবে সাকিব আগামীকাল সেটি পুরোপুরি পুষিয়ে নিতে চাইবেন। নইলে যে বিদায়! সঙ্গে তামিমের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে হারের প্রতিশোধ তো আছেই।

শত্রু তামিমকে কাঁদিয়ে ফাইনালে না গেলে কী শান্তি পাবেন সাকিব? একই কথা তামিমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যে-ই জিতুক—দুজনকে ফাইনালে দেখার আশা গতকালই শেষ হয়ে গেছে। তবে এবার চতুর্থবারের লড়াইটা কে জেতেন, সেটি দেখতে উদ্‌গ্রীব হয়ে আছেন সবাই। আর এমন আরেকটি ধ্রুপদী লড়াইয়ে আগে বিখ্যাত রক ব্যান্ড কুইনের গানের কথা ধার করেই বলতে হয়, ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD