আজ শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বীমা সম্পর্কে প্রত্যক নাগরিককে সচেতন করতে হবে। বীমা থেকে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে তা সবাইকে জানাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় বিমা নিয়ে অনেকে নানা ধরনের ব্যবসা করেন। এমন কিছু ঘটনা আমি নিজেও ধরেছি। একটা গার্মেন্টসে বারবার আগুন, ঘনঘন আগুন। তদন্তে দেখা গেল ওই গার্মেন্টসের এক কর্মীকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর ৪০ কোটি টাকা দাবি করা হয়। অথচ ৪০ কোটি টাকার মালামাল পুড়েনি। নিজেই আগুন লাগাতো, মোটা অংক দাবি করতো।’
এ সময় বীমা নিয়ে যারা বাণিজ্য করে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো অসাধু ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’
বিমা সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিমা আমাদের প্রত্যেকের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জীবনের বিভিন্ন ঝুঁকি এড়াতে বিমা সহযোগিতা করে। বিমা করলে কী সুবিধা সেটা মানুষকে জানাতে হবে। সামান্য একটা প্রিমিয়াম দিয়ে একটা বিমা করলে পরে কিন্তু অনেক সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।’
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার তুলে নেন ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোরশেদ আলম এমপি।