1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

‘কেউ আমার ছেলে-বৌ, নাতিডিরে আইন্না দেও’

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

মা হেলেনা বেগমকে জানানো হয় ছেলে অসুস্থ। তবে মায়ের মন ঠিকই টের পেয়েছে ছেলে বেঁচে নেই। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘আমার ছেলেরে কেউ আইন্না দেও। কেউ আমার ছেলেরে আইন্না দিতারবা।

আমার ত সব শেষ। ছেলে, বৌ, নাতি-নাতিন কেউ নাই। আমি অহন কেমনে বাঁচুম। তোমডা কেউ হেরারে আইন্না দেও।
’ 

রাজধানীর বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতে লাগা আগুনে পুড়ে মারা গেছেনে হেলেনা বেগমের ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার, ছেলের বৌ স্বপ্না বেগম, নাতিন সৈয়দা ফাতেমা তুজজোহরা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ। আগুনে পুড়ে সবাই মারা গেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের খন্দকার পাড়ায় এখন শোকের মাতম।

মাসখানেক আগে ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন।

ইতালিতে ব্যবসা করতেন তিনি। সেখানে তার চারটি কসমেটিকস এর দোকান রয়েছে। 

মোবারক হোসেন স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। স্ত্রী ও সন্তানদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ভিসাও হয়ে গিয়েছিল সবার।

কিন্তু ইতালি আর যাওয়া হলো না তাদের। শুক্রবার তাদের গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিলো। তারা আসতেছেন, তবে লাশ হয়ে।মোবারকের চাচাতো ভাই মেস্তাফিজ ও ফয়সাল জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডিনার করতে গিয়েছিলেন মোবারক। সঙ্গে ছিল স্ত্রী স্বপ্না ও তিন সন্তান। আগুনে সবাই মারা গেছেন।

আরেক আত্মীয় নেসার আহমেদ জানান, মোবারক পরিবারসহ ইতালিতে যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলো। তিনি ছুটিতে এসেছিলেন সবাইকে নিতে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD