1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ইশতেহারের দিকে লক্ষ্য রেখেই বাজেট হবে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইশতেহারের দিকে লক্ষ্য রেখেই বাজেট তৈরি করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষ্য নিয়েছিলাম, সেটা করেছি।  এবারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে তিনি এই কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে দেয়া ওয়াদা ও ইশতেহার বাস্তবায়নই একমাত্র প্রতিজ্ঞা। পুরানো ও নতুন মিলেই এবারের মন্ত্রিসভা। প্রথম মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশের উন্নয়নে কাজ করবো।  প্রকল্পের পরিকল্পনা হবে দেশের মানুষের কল্যাণে।  যে প্রকল্পের কাজ চলমান, সেগুলো শেষ করবো।

তিনি বলেন, মন্ত্রিদের নির্দেশ দিয়েছি- জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণ কি রিটার্ন পাবে সেটা মাথায় রেখেই প্রকল্প নিতে হবে। কেউ ঋণ দিতে চাইলেই ঝাঁপিয়ে পড়বো না, বিবেচনা করে নেবো। সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবো। দুর্নীতি প্রতিরোধে ঘোষিত জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে।  যাদের সহায়তা প্রয়োজন তারাই যেন পায়। যুব সমাজকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে একটি রাজনেতিক দলসহ তাদের জোট অংশ নেয়নি। তবে ২৮টি দল অংশ নেয়। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগ নির্বাচন উন্মুক্ত করে। এই নির্বাচনে সবচেয়ে লক্ষণীয় হলো, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। নারী ও প্রথমবার যারা ভোট দিয়েছে তাদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।

তিনি আরও বলেন, শপথ নেই ১০ জানুয়ারি। এই দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র দিন। এই দিন জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন।  ওই দিন শপথ নেয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠারও শপথ নেই।

তিনি আরও বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ করবো। দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি, এখনকার ডিপ্লোম্যাসি হবে পলিটিক্যাল ডিপ্লোম্যাসি। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। মনুষ্যত্ব, দেশপ্রেম থাকলে কেউ এটা করতে পারে? কেন নির্বাচন ঠেকাতে হবে? ৭৫ এর পরে দেশের নির্বাচন তো দেখেছি। দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জোট। অগ্নিসন্ত্রাসে মতো ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি পেতেই হবে, এদের ক্ষমা করা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির তরফ থেকে দেশ বিদেশে লেখা হচ্ছে তাদের এত লোক গ্রেপ্তার। সব নাকি রাজবন্দী। রাজবন্দী কাকে বলে? যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারে তারা কি রাজবন্দী? তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী, অপরাধী। রাজনৈতিক কারণে কেউ গ্রেপ্তার নেই। যারা গ্রেপ্তার আছে তারা হয় হুকুমদাতা, না হয় সরাসরি অগ্নিসন্ত্রাসের সাথে জড়িত। এরা কেউ রেহাই পাবে না। সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাসের মামলাগুলো যেন যথাযথ চলে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের চরিত্রই হচ্ছে খুন আর দুর্নীতি। লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে হুকুম দেয়, আর বিএনপি নেতারা হুকুম তামিল করে আগুন দিয়ে মানুষ মেরে ছবি পাঠায়। এভাবে তারা নিজেরাই আলামত রেখে দিচ্ছে। এদের গ্রেপ্তার করলে রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার কিভাবে হয়? এ কেমন নেতা, নিজে দূরে নিরাপদে থেকে হুকুম দেয়? জনগণকে এদের প্রতিরোধ করতে হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD