রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন বৃষ্টি। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুত নামেই পরিচিত ছিলো। বৃষ্টি ছিলো মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত ও তার বাবা-মা বৃষ্টিকে নিজের সন্তান হিসেবে দাবি করে। এর পর নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।
বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।
অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে থাকা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো নাজমুল।
ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি ও নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলো। গত শনিবার তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। উভয়েরই পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ডিএনএ শনাক্তের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারাই নেবে।
মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে রমনা থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মরদেহ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনও আমাদেরকে কোনো কিছু জানায়নি। ডিএনএ যদি শনাক্ত হয় তবে অবশ্যই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ ও নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, মরদেহ নেওয়ার জন্য এখনও তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা অপেক্ষায় আছেন।
চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এক রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।