শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রদীপ চন্দ্র দাস বলেন, দগ্ধদের মধ্যে ১৫ জনের ৫০ শতাংশের ওপরে পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ৫ জনকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
দগ্ধরা হলো– নাদীম (২২), নীরব (১০), সুফিয়া (৯), মিরাজ (১৩), তারেক রহমান (১৭), সোলায়মান(৯), লালন (২৩), নাঈম (৮), শিল্পি (৪০), ইয়াসিন আরাফাত (২১), সুমন (২৬), মুহিদুল (২৭), মুন্নাত(১৮), রাব্বি (১৩), নার্গিস (২৫), সাদিয়া খাতুন (১৮), জহিরুল (৩২), আরিফ (৪০), রত্না বেগম (৪০), তাইবা (৫), মনসুর আলী (৩০), নূরনবী (৩), রহিমা (৩), কবীর (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান মোল্লা (৪৫), মশিউর (২২), লাদেন (২২), কমলা খাতুন (৬৫), নিলয় (৩), বাশার (৪৫), মো. ফেরদৌস (১৯), আজিজুল (২৪), সুমি (১৯) এবং মোতালেব (৪০)।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, স্থানীয় শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার পর থেকে চাবি থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। পরে তিনি সিলিন্ডারটি বাইরের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেন। তখনও সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। এমন সময় ওই স্থানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে যায়। এতে রাস্তায় থাকা ৩৫ জনের বেশি দগ্ধ হন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগুনে দগ্ধদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে, ঘটনার পরপরই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি চিকিৎসকদের দগ্ধ ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।