1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১১ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনামঃ
জুলাই শহীদ পরিবারের চাকরি নতুন কোটা হিসেবে যুক্ত হবে না: নাহিদ ইসলাম জুনের মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাচ্ছেন সৌদিতে থাকা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা রাজশাহীতে এএসআইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ‘ছেলেরা যদি আমার ভাইয়ের মতো হতো’ সিএনজিচালক মিটারের বেশি ভাড়া নিলেই ৬ মাসের জেল, জরিমানা ৫০ হাজার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এবার হবে সেরা নির্বাচন: ইউএনডিপি এনআইডিতে বয়স ১১৬ বছর, ইনি কি হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী? মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ২৭ হাজার পাসপোর্ট বিতরণ  তসলিমার ‘চুম্বন’ বিক্রি, জয় বাংলা স্লোগান: স্টল সাময়িক বন্ধ

বিয়ের কথা গোপন করা যায় কিনা, শরিয়ত যা বলে

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

অনেককে দেখা যায়, কেবল দুজন মানুষ সাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে নেন। পরিবার, সমাজ কিংবা আশেপাশের কোনো মানুষকে বিয়ের কথা জানানো প্রয়োজন মনে করেন না। বিয়ের কয়েক বছর পর সন্তান জন্ম নেওয়ার পর বিয়ের খবর জানাতেও দেখা যায় অনেককে। এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা কী? বিয়ের কথা গোপন রাখা কি শরিয়তসম্মত?

উত্তর: ইসলামে বিয়ে এক পবিত্র বন্ধন। নারী-পুরুষের জৈবিক চাওয়া পূর্ণ করার হালাল পদ্ধতি। বিয়ে-বহির্ভূতভাবে নারী-পুরুষ একসঙ্গে জীবনযাপন করা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, এরপর তিনি তাকে বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্কযুক্ত করেছেন। আর তোমার প্রতিপালক হলো প্রভূত ক্ষমতাবান।’ (সুরা ফুরকান: ৫৪)

বিয়ে নবীজির সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘চারটি জিনিস নবী-রাসুলদের সুন্নত। লজ্জাবোধ, সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক ও বিয়ে।’ (তিরমিজি: ১০৮০)

ইসলামে মানুষের কাছে বিয়ের বার্তা পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও সাক্ষী ছাড়া অন্যদের না জানালেও বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যায়, তবে সামাজিকতার দিকে লক্ষ্য রেখে বিয়ের কথা আশপাশের মানুষকে জানানো আবশ্যকীয় কর্তব্য। কারণ মানুষ যেন তাদের সম্পর্কে স্বচ্ছ-সুন্দর ধারণা রাখে। তাদের জন্য বরকতের দোয়া করে।

মুহাম্মদ (সা.) বিয়ের ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। বিয়ের প্রচার করতে আদেশ করেছেন। বর-কনের অভিভাবক তাদের নাম ধরে বিয়ের ঘোষণা করবেন। মসজিদে সমবেত মুসল্লি ও স্থানীয় মানুষের জটলার সামনে বর-কনের বিয়ের বার্তা পৌঁছাবেন। শরিয়ত সমর্থিত বাদ্য বাজাবেন।

হাদিসে ‘দফ’ বাজানোর কথা এসেছে। দফ হলো, এমন বাদ্যযন্ত্র যার ওপরের অংশ চালুনির মতো, যাতে ঘণ্টির মতো আওয়াজ নেই, আর তার একাংশে থাকে চামড়ার পর্দা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ে প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে মসজিদে সম্পাদন কোরো এবং তাতে দফ বাজাও।’ (মিশকাত: ৩০১৭)

বিয়ে যেহেতু আনন্দ ও শুভকামনার আশিস, তাই এতে আমোদ-ফুর্তির জন্য ইসলাম সমর্থিত সংগীত পরিবেশন করা যেতে পারে। এর লক্ষ্য হতে হবে মানুষকে বিয়ের পয়গাম জানানো। বিয়ের মাধ্যমে আনন্দের বার্তা পৌঁছানো।

ইসলামি শরিয়তের সীমার মধ্যে থেকে হলুদ বা এ জাতীয় রং সৃষ্টিকারী বৈধ উপাদান ব্যবহার করার অনুমতি আছে। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)-এর দেহে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কী অবস্থা?’ তিনি বলেন, ‘আমি এক আনসারি নারীকে বিয়ে করেছি।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘একটি বকরি দিয়ে হলেও ওয়ালিমা করো।’ (নাসায়ি: ৩৩৭৭)

এই হাদিস থেকে এও বোঝা যায় যে, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও মানুষকে বিয়ের সংবাদ দিতে বিয়ের পর ওয়ালিমার আয়োজন করা সুন্নত। মহানবী (সা.) নিজের বিয়েতেও ওয়ালিমার আয়োজন করেছেন।

মুফতি রায়হান রাশেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD