এতে বলা হয়, ৪০ ঘণ্টা স্থায়ী উদ্ধার অভিযানে জাহাজ রুয়েনকে আলাদা করে ফেলতে সক্ষম হয় আইএনএস কলকাতা। ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজকে থামতে বাধ্য করে তারা।
ওদিকে জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার এবং এর পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিতে অভিযানে সহায়তা দেয় ভারতের যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুভদ্র, হাই অলটিটিউড লং এনডুরেন্স ড্রোন, পি৮আই সামুদ্রিক টহল বিমান, সি-১৭ বিমান থেকে নামিয়ে দেয়া মারকোস প্রাহারস। পরে ওই জাহাজে কোনো বেআইনি অস্ত্র, গোলাবারুদ বা অন্য কিছু রাখা আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনী চলমান উদ্ধার অভিযান নিয়ে তথ্য শেয়ার করে।
গত ১৪ই ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে দখলে নেয় মালটার জাহাজ এমভি রুয়েন।
এরপর এটা ব্যবহার করে তারা গভীর ও উত্তাল সমুদ্রে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলার হুমকি দিয়ে যেতে থাকে। জলদস্যুতায় ব্যবহার করে এমভি রুয়েনকে। এই হুমকির প্রেক্ষিতে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নেয় ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। তারা ১৫ই মার্চ থেকে জলদস্যুদের পিছু নেয়। অতঃপর ভারতীয় নৌবাহিনী তাদেরকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় শনিবার। সব নাবিকদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানায়।