‘স্পেসভিআইপি’ তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে রেস্তোরাঁর বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁটি দেখতে হবে অনেকটা বেলুনের মতো। ছয় ঘণ্টার জন্য সেই হাইটেক স্পেস-বেলুনে মহাকাশ-সফরে নিয়ে যাওয়া হবে অতিথিদের। তার জন্য মাথাপিছু খরচ প্রায় ৫ লাখ ডলার।
‘স্পেসভিআইপি’ জানিয়েছে, তাদের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুকিং সংক্রান্ত অসংখ্য প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, এ সফরে নাম লেখাতে কোথায় সাইন আপ করতে হবে।
আপাতত ছয় জন অতিথির জন্য টেবিল থাকছে রেস্তোরাঁয়। চারপাশে বড় বড় জানালা, চোখ চলে যাবে সুদূরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ লাখ ফুট উচ্চতায় বসে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে খাবার উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা। ওয়াইফাইও থাকবে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ড্যানিশ রেস্তোরাঁ ‘অ্যালকেমিস্ট’-এর শেফ রাসমুস মাঙ্ক মেনু তৈরি করছেন। এখনো মেনু চূড়ান্ত হয়নি, তবে ৩২ বছর বয়সী শেফ জানিয়েছেন, মহাকাশ সফরের মতো মেনুতেও স্বাদে-গন্ধে চমক থাকবে।
মাঙ্ক জানান, খরচ অনেকটাই বেশি, তবু মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। তার কথায়, এই সফরের বিপুল খরচ সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। তবে এটাই প্রথম যাত্রা কি না, তাই এতটা দামি।
মাঙ্ক নিজেও প্রথম সফরে অংশ নেবেন। জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও অনেক সফর হবে। টিকিটের দাম ধীরে ধীরে কমবে। আরও বেশি মানুষ এ অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
‘স্পেসভিআইপি’র প্রতিষ্ঠাতা রোমান চিপোরুখা বলেন, ইতোমধ্যে কয়েক ডজন আবেদন জমা পড়েছে আমাদের কাছে। সবাই খুব উৎসাহী। কিন্তু আমাদের কাছে মাত্র ছয়টি আসন রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রী-তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
মহাকাশে ভাসমান বেলুন-রেস্তোরাঁটি নির্মাণ করেছে ‘স্পেস পারসপেকটিভস’। অতিথিদের কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। জানা গেছে, রকেট নয়, একটি স্পেস বেলুনের সাহায্যের এক ধরনের ক্যাপসুলে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে যাত্রীদের। প্রযুক্তিটির পেছনে রয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আগামী মাস থেকে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন শুরু হবে।
তবে শুধু ‘স্পেসভিআইপি’ নয়, ২০২৫ সালের পর্যটন-বাজারে তাদের প্রতিযোগীরাও হাজির হচ্ছে। গত বছর ফ্রান্সের একটি সংস্থা ‘জেফাল্টো’ ঘোষণা করেছিল, তারাও মহাকাশ-রেস্তোরাঁ খুলতে যাচ্ছে। খরচ অবশ্য অনেক কম, একটি টিকিটের দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার।