এদিন মামলাটি পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিল। তবে এদিন পরীমণি আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে আইনজীবী জয়া রাণী দাশ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময় আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, পরীমণি শুটিংয়ের জন্য ভারতে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
এদিকে, এদিন আসামি নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল পরীমণির অসমাপ্ত সাক্ষ্য শেষ করার আবেদন করেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমণি সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি, ৬ মার্চ ও ২৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পরীমণি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। ২৪ জুলাই আংশিক সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিতে পরীমণির অবহেলায় আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করার আদেশ প্রার্থনা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে পরীমণিকে শেষ বারের মত সময় দেন। পাশাপাশি আসামিদের যাতায়াত ভাড়া এক হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন।
মামলার আসামি হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রানা আচার্য এসব তথ্য জানান।
২০২২ সালের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমণি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার ইন্সপেক্টর কামাল হোসেন।