চলমান আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে হেরে আসর শুরু করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে কোহলিরা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাবকে চার উইকেটে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
সোমবার (২৫ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় পাঞ্জাব। জবাব দিতে নেমে চার এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় রয়্যাল বেঙ্গালুরু। এতে আসরের প্রথম জয়ের দেখা পেলো তারা।
বিশ্বকাপে এবি ডি ভিলিয়ার্স ততোটা নিজের জাত চেনাতে না পারলেও আইপিএলে ঠিকই ব্যাট হাতে ঝড় তুলছেন। এই দুই ব্যাটিং জিনিয়াসের জুটিতে ভর করে নিয়মিত জয়ের দেখা পাচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
শুক্রবার রাতে তারা মুখোমুখি হয় ধোনির দল গুজরাট লায়ন্সের। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানের বেশি করতে পারেনি ধোনির দল। ফলে ১৩ রানের দারুণ এক জয় পেয়েছে কোহলির দল।
বেঙ্গালুরুর এমন জয়ে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২৭ রানে দলের প্রথম উইকেটের পতন ঘটার পর তারা দুজন দলীয় স্কোরকে ১৮২ রান পর্যন্ত টেনে নেন।
এ যাত্রায় ৬৩ বলে ৭চার ও ২ ছক্কার সমন্বয়ে ৮০ রান করেন কোহলি। আর ৪৬ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সমন্বয়ে ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানে ফাপ ডু প্লেসিস আউট হয়ে যান। এরপর একই রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন কেভিন পিটারসেন। ১৮ রানে আউট হয়ে যান স্টিভেন স্মিথ।
এরপর ধোনি ও রাহানে মিলে দলীয় স্কোরকে ১০৯ রান পর্যন্ত টেনে নেন। ব্যক্তিগত ৬০ রানে রাহানে আউট হয়ে যান। ১২০ রানে আউট হন ধোনি। আর ১৬৪ রানে পেরেরা আউট হয়ে যাওয়ার পর গুজরাটের পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানের বেশি করতে পারেনি গুজরাট।
বল হাতে বেঙ্গালুরুর রিচার্ডসন ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন শেন ওয়াটসন। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন এবি ডি ভিলিয়ার্স।