ঘাতক ছেলে রাহাত হোসেন (৩০) ওই গ্রামের দুলাল হাওলাদারের ছেলে। তাঁর মায়ের নাম নাছিমা বেগম (৫০)। আহত জাহানারা বেগম একই গ্রামের নাজু মৃধার স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি জানান, খুনি রাহাত হোসেনের স্ত্রী ও বাবা ঢাকায় আছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর রাহাত তাঁর মাকে ইলিশ মাছ রান্না করতে বলে। তাঁর মা জানায়, বাড়িতে কেউ নেই, তিনি একা সংসারের অন্যান্য কাজ শেষ করে মাছ রান্না করতে পারবে না। এরপরও রাহাত তাঁর মাকে ইলিশ মাছ রান্না করতে বারবার অনুরোধ করে। এরই মধ্যে মায়ের সঙ্গে মাছ রান্না নিয়ে রাহাতের মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রাহাত দা দিয়ে তাঁর মাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশের পাশে বসে থাকে।
জাহানারা নামে আহত ওই নারী রাহাতকে বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে রাহাত। বর্তমানে ওই নারীকে বরিশাল শেরেবাংলা (শেবাচিম) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক
ওসি আরও জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাহাত কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। সে পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ছেলেকে আটকের পাশাপাশি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।