বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খাইরুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দুটি করেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৬ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য দাখিল করেন। তবে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে তার নামে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে দুই লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে একই তারিখে দাখিলকৃত তার স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের সম্পদ বিবরণীতে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানকালে তার নামে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৮১৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এতে তিনি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মোরশেদা মরিয়ম এক কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন।
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে বরাবরই একটি মহল বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। দুদকের এ মামলা তারই অংশ। আমি আইনগতভাবেই এটার মোকাবেলা করবো।
এ বিষয়ে খাইরুল হক বলেন, তারা উভয়ই জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অপরাধ প্রতিয়মান হয়েছে।