টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গাজী গ্রুপ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শেখ জামালকে দারুণ শুরু এনে দেন সাইফ হাসান ও সৈকত আলী। দুজনের প্রথম উইকেট জুটিতে ওঠে ৪৪ রান। ৩৯ বলে ২৪ রান করা সৈকতকে ফিরিয়ে গাজীকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
রান আউট হওয়ার হতাশা নিয়ে ফিরেছন সাইফ। তার আগে করেছেন ৩৮ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৮ রান। ৩ নম্বরে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন সাকিব। প্রথমে খেলেছেন দেখেশুনে। এরপর সময় যত গড়িয়েছে স্বভাব সুলভ ব্যাটিং করেছেন তিনি। চলমান বিপিএলে প্রথম ফিফটির পরপরই অবশ্য প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। ৬৫ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেছেন ৫৩ রান।
শেখ জমাল ২৩৩ রানের সংগ্রহ পায় শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ফিফটির কল্যাণে। ৪৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছেন হার্ডহিটার এ ব্যাটার।
গাজী গ্রুপের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রুয়েল মিয়া ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন।
২৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা যেমন করার প্রয়োজন ছিল তেমনটা করতে পারেনি গাজী। ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান ফিরেছেন দ্রুত। মেহেদী মারুফ শুরুটা ভাল করলেও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে।
গাজী গ্রুপ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। প্রিতম কুমার-আল আমিন জুনিয়র-মাহফুজুর রাব্বিরা তেমন কিছুই করতে পারেননি। গাজীর হারের ব্যবধান কমিয়েছেন মঈন খান ও শেখ পারভেজ জীবন। মঈনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ বলে ৪২ রান, জীবন করেছেন ৩৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩২ রান।
শেখ জামালের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন মৃত্যঞ্জয় চৌধুরী। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান