যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তারা একটি ভিডিও পেয়েছে। সেটিতে দেখা গেছে, সাগরে ত্রাণ ফেলার পর সেগুলো আনতে দৌড়াদৌড়ি করছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ডুবে যাওয়া মানুষদের উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে এবং তাদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আবু মুহাম্মদ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, ত্রাণগুলো উপকূল থেকে অনেক দূরের সমুদ্রে ফেলা হয়েছিল। এরপর সাঁতার না জানা অনেক পুরুষও সেগুলো নিতে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তিনি বলেছেন, “ওই সময় শক্তিশালী স্রোত ছিল এবং সব প্যারাসুট পানিতে পড়েছিল। মানুষ ক্ষুধার্থ। তারা খেতে চায়। আমি কিছুই পাইনি। যারা তরুণ তারা দৌড়ে গিয়ে এসব ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু যাদের একটু বয়স বেশি তাদের জন্য গল্পটা অন্যরকম।”
আবু মুহাম্মদ আরও বলেছেন, “আমরা সবগুলো স্থলপথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরনের অপমানজনক পদ্ধতি মানা যায় না।”
গাজায় ইসরাইল এখনো আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো বলেছে, প্রয়োজনীয় ত্রাণের মাত্র এক পঞ্চমাংশ গাজায় প্রবেশ করছে। ফলে উপত্যকাটি এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস অনুরোধ করে বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা বন্ধ করে সড়ক পথে ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেসব দূর করতে পদক্ষেপ নিন।