1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি মার্কেট। সারাবছরই ক্রেতা সমাগম থাকে এসব মার্কেটে। তবে ঈদ, পূজাসহ অন্য উৎসব-অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে হাজারো ক্রেতায় মুখরিত থাকে পুরো নিউমার্কেট এলাকা। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে পছন্দের পোশাকসহ অন্য জিনিসপত্র কিনতে এসব মার্কেটে আসেন ক্রেতারা। উৎসব কেন্দ্র করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততায় জমজমাট থাকে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী নিউমার্কেট এলাকা।

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, নারীদের শাড়ি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে। মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

 

রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে এলে মার্কেটে প্রচুর ভিড় থাকে। লোকজনের ভিড়ে পা ফেলা যায় না। সেজন্য আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা করতে নিউমার্কেটে এসেছি। তবে এখানে এসে দেখছি আরও অনেকেই কেনাকাটা করতে এসেছেন। মানুষের প্রচুর ভিড়। এখনও কিছু কিনিনি, ঘুরে ঘুরে দেখছি কী কেনা যায়।

 

নিউমার্কেটের একজন বিক্রেতা জানান, গরম বাড়ছে, তাই গরমে পরার উপযোগী পোশাকগুলোই তারা তাদের দোকানে সাজিয়েছেন। ক্রেতারাও গরমে আরামদায়ক হবে এমন পোশাক কিনছেন। ঈদ সামনে তাই তাদের বিক্রিও বেড়েছে।

 

তবে ক্রেতারা বলছেন, অন্য যে কোনো বারের তুলনায় এবার ঈদের পোশাকের দাম অনেক বেশি। চাহিদার বিপরীতে অল্প কেনাকাটা করেই বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

 

বাচ্চাদের ঈদ কেনাকাটা আগেভাগে সেরে রাখতে পুরান ঢাকা থেকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে এসেছেন মারিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, বাচ্চাদের তো ঈদের খুশিটা অনেক বেশি। তাই তাদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে চলে এসেছি। এখন ওদের পছন্দ অনুযায়ী, ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করার চেষ্টা করছি। তবে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। আমাদের জন্য হয়তো তেমন কিছু না কিনলেও চলে। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য তো না কিনলে হয় না।

 

এদিকে ঈদ সামনে রেখে মধ্যবিত্তের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের বাজারগুলো। শখ ও সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব মিল ঘটাতেই নিম্ম আয়ের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ফুটপাতের দোকানগুলো। বিক্রেতাদের দাবি ফুটপাতের দোকানে দাম তেমন বাড়েনি।

 

জসিম নামে রাজধানীর পান্থপথের ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা জানান, যাদের আয়-রোজগার কম তারাই মূলত ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসেন। আমরাও তাদের কাছে সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করে থাকি। কারণ আমরা চাই সবাই আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করুক। ঈদে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মগবাজারের দ্য গ্র্যান্ড প্লাজা শপিং মলে কথা হয় ভারতীয় পণ্যের এক প্রতিষ্ঠানের মালিক সানোনি আরা সায়েদের সঙ্গে। তিনি জানান, “সরাসরি ক্রেতার চেয়ে আমরাদের অনলাইনে বেশি বিক্রি হয়। আমাদের প্রতিটি পেশাই ভারতের।”

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD