তারাবি নামাজ ফরজ বা ওয়াজিব নয়, বরং সুন্নত। তাই দাঁড়িয়ে তারাবি পড়তে পড়তে ক্লান্তিবোধ করলে এবং বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে বসে পড়া যাবে। এতে নামাজ হয়ে যাবে। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (স.) বার্ধক্যে পৌঁছা পর্যন্ত কখনো তাকে রাতের নফল নামাজ বসে আদায় করতে দেখেননি। বার্ধক্যে পৌঁছার পর তিনি নফল নামাজে বসে কেরাত পাঠ করতেন, রুকুতে যাওয়ার সময় হলে দাঁড়িয়ে ত্রিশ অথবা চল্লিশ আয়াত তেলাওয়াত করে রুকুতে যেতেন। (সহিহ বুখারি: ১১১৮, সহিহ মুসলিম: ৭৩১)
তবে কোনো প্রকার ওজর ছাড়া তারাবিহ বসে পড়া সুন্নাহপরিপন্থী এবং সালাফের স্বীকৃত নীতি পরিপন্থী। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ৩৪২৯, ৩৪২৪, ৩৪২৫, ৩৪২৬; মাবসুত, সারাখসি: ২/১৪৭; বাদায়েউস সানায়ে: ১/৬৪৭; ফতোয়া খানিয়া: ১/২৪৩; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/২৫৫; রদ্দুল মুহতার: ১/৪৪৫)
সুতরাং তারাবি নামাজের জামাতে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় বসে থাকা এবং রুকুর আগমুহূর্তে ওঠে ইমামের সঙ্গে রুকুতে যাওয়া মোটেও উচিত নয়। উপরন্তু এটি অলসতা ও উদাসীনতার লক্ষণ। নামাজে অলসতা খুবই বাজে অভ্যাস। তাই ওজর না থাকলে এ রকম কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
স্মর্তব্য যে, বসে তারাবি পড়লে সওয়াব মিলবে অর্ধেক। ইমরান ইবনে হোসাইন (রা.) বলেন, আমি রাসুলকে (স.) বসে নামাজ আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- إن صلى قائماً فهو أفضل ومن صلى قاعداً فله نصف أجر القائم ‘যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তবে তাই উত্তম। আর বসে নামাজ আদায় করলে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যাবে। (সহিহ বুখারি: ১১১৫)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়মে তারাবি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।