প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রী-শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৩২ বছর জেল খেটে মুক্তি পাওয়া শাহজাহান ভূঁইয়া, যিনি কারাগারে বহু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ‘জল্লাদ’ পরিচিতি পেয়েছেন।
রোববার (৩১ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি এ মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে ২৭ জুন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন-শাহজাহানের শশুড় বাড়ির স্বজন দীন ইসলাম, আজিদা বেগম, রাসেল ও বাবলু।
মামলা শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে জল্লাদ শাহজাহান বলেন, বড় আশা করে সংসার পেতেছিলাম। কিন্তু স্ত্রী ও তার স্বজনরা যোগসাজশে বিয়ে করে প্রতারণার ফাঁদ ফেলে। বিয়ের দেড় মাস পর আমার কাছ থেকে নেওয়া দশ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। এর কয়েক দিন পর আদালতে গিয়ে আমার স্ত্রী সাথী উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগে যৌতুকের মামলা করে। আমি আইনজীবীর পরামর্শে আমার স্ত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আদালতে আমি ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করি।
জল্লাদ শাহজাহানের আইনজীবী মো.ওসমান গনি বলেন, প্রতারণার অভিযোগে জল্লাদ শাহজাহান তার স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন
উল্লেখ্য, ৩৬ মামলায় ১৪৩ বছরের জেল হয় আলোচিত জল্লাদ শাহজাহানের। ৩২ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি পান তিনি। ১৯৯১ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে শাহজাহানের নামে সর্বমোট ৩৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি মামলা এবং বাকি ৩৪টি হত্যা মামলা।
কারা সূত্রে জানা যায়, সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় কয়েদি থেকে জল্লাদ হন শাহজাহান। একের পর এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন চার দেয়ালের বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পেতে।