1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

পাবনা জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অসহ্য হয়ে উঠেছে জনজীবন।

সোমবার (১ এপ্রিল) পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরে রোদের তাপে বাইরে চলাচল বা দাঁড়ানো যাচ্ছে না। সড়কে মানুষের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন চলাচলও কমে গেছে।

চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, আর বাতাসের আর্দ্রতা ২১ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে আজ সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে প্রচণ্ড গরম হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রোজাদাররা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।

গ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে যাত্রী নিয়ে আসা ফজলুল হক নামের এক ভ্যানচালক বলেন, ‘প্যাডেল মেরে ভ্যান চালালেও আল্লাহ সবকটি রোজা রাখার তৌফিক দিয়েছেন। রোজার শুরুতে কিছু মনে না হলেও গত ২/৩ দিন গরমে কষ্ট হচ্ছে ভ্যান চালাতে। দুপুর হলেই ক্লান্তিতে প্যাডেল আর চলছে না। বিকেলের আগেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন গরম পড়লে রোজা রেখে ভ্যান চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।’

কৃষক নূর ইসলাম বলেন, মাঠে বেরো ধানের সেচ চলছে। রোদের কারণে গরমে বেশিক্ষণ মাঠে থাকা যাচ্ছে না। অনেক রোজাদার কৃষক মাঠে কাজ করছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির ঘরে উঠতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজা থাকতে পরছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD