যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের পর। গায়েব হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য উড়োজাহাজের নির্ধারিত স্থানে থাকা দামি স্মারক।
ঘটনাটি নজরে আসে গত ফেব্রুয়ারিতে। সফর শেষে এয়ার ফোর্স ওয়ানের জিনিসপত্র যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে থাকা কিছু স্মারক নেই।
জানা গেছে, দামি ব্র্যান্ডের বালিশের কভার, গ্লাস থেকে শুরু করে সোনার প্রলেপে কিনারা বাঁধানো প্লেট চুরে হয়েছে।
এ ঘটনায় ‘হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশন এ ঘটনায় সাংবাদিকদের সতর্ক করে বলেছে, এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে কোনো কিছু সঙ্গে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ।
হোয়াইট হাউসে কর্মরত সাংবাদিকদের সবাইকে গত মাসে একটি ই–মেইল পাঠায় এ অ্যাসোসিয়েশন।
এতে বলা হয়, ওই ধরনের আচরণ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সফরকারী সাংবাদিকদের সম্পর্কে খুবই খারাপ মনোভাবের প্রকাশ। এমন আচরণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আকাশপথে ভ্রমণের সময়কার দপ্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উড়োজাহাজের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র। তিনটি স্তরে মোট চার হাজার বর্গফুট জায়গা রয়েছে এ উড়োজাহাজে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে মাঝেমধ্যে সাংবাদিকদের স্মারক হিসেবে চকলেটের বাক্স দেওয়া হয়। তাতে প্রেসিডেন্টের সিল যুক্ত থাকে। মার্কিন প্রশাসন বলছে, এরপরও এয়ার ফোর্স ওয়ানের লোগোযুক্ত স্মারক (বাসন, তোয়ালেসহ নানা জিনিস) গায়েব হওয়ার অহরহ ঘটনা ঘটছে।
এক দিনের ঘটনা স্মরণ করে কোমাদোভস্কি বলেন, ‘এয়ার ফোর্স ওয়ানের লোগোসহ একটি কাগজের কাপ আমার হাতে রয়ে গিয়েছিল। আমি সেটা ফেলে দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।’
প্রেসিডেন্টের সরকারি এ উড়োজাহাজ মাঝ আকাশে জ্বালানি নিতে পারে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে সীমাহীন পথ পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এয়ার ফোর্স ওয়ানের।
এছাড়া এটি আকাশপথে হামলা প্রতিরোধেও সক্ষম।
ভয়েস অফ আমেরিকার হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা মিশা কোমাদভস্কিকেও চুরির জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবিসি নিউজকে মিশা কোমাদভস্কি বলেন, যখন তিনি এয়ার ফোর্স ওয়ান লোগোসহ একটি পেপার কাপ হাতে রেখেছিলেন, তখন তিনি এটা ফেলে দিতে ভুলে গিয়েছিলেন।