নানা আলোচনা-সমালোচনায় ছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২০২৩ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। সেবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন পীরজাদা শহীদুল হারুন।
নির্বাচনে নিপুণ আক্তার পরাজয়ের পর ‘চুমু দিতে চাওয়ার’ অভিযোগ করেন হারুনের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবারের নির্বাচনে সেই নিপুণের প্যানেল থেকেই নির্বাচন করছেন হারুন!
তিনি কোন পদে প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনো জানা যায়নি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নিপুণের প্যানেলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এফডিসিতে এসেছিলেন তিনি। এ সময় হারুন বলেন, গতবার আমার বিরুদ্ধে নিপুণ যে অভিযোগ করেছিলেন সেটি কিন্তু অন্যের কথা শুনে। সে নিজের কানে শোনেননি। সুতরাং সেটি ছিল একদম ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ। এমন কোনো কথাই হয়নি। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। দীর্ঘদিনের অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজের সূত্র ধরে আমি অভিজ্ঞতা থেকে শিল্পীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব।
গতবার নির্বাচনে পরাজয়ের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। সেমময় নিপুণ বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে দুইটা চুমু চেয়েছিলেন। সেখানে আমাদের প্যানেলের জেসমিন ছিল। হারুনের ওই কথার জন্য তাকে থাপড়ানো উচিত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাকে কোনো কিছু বলিনি। তাকে সিনেমা-নাটকে কোনোদিন নেওয়া উচিত নয়।’
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুন। নির্বাচন নিয়ে তুমুল হই হট্টগোল, তর্কবিতর্ক, মামলা, আদালতে দৌড়ঝাঁপসহ সবকিছুই হয়েছে।
পরে উপর মহলের চাপে তা থেকে যায়। কিন্তু এবার সেই পীরজাদা হারুনের সঙ্গে হাত মেলালেন নিপুণ। অর্থাৎ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মাহমুদ কলি ও নিপুণের প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করছেন পীরজাদা হারুন।