অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে কী চমকে দেবে, বাজে ব্যাটিংয়ে উল্টো নিজেরাই চমকে গেছে। আগের দুই সিরিজে ভারত-পাকিস্তানকে হারানো বাংলাদেশ এভাবে বিধ্বস্ত হবে- কল্পনাতেও ছিল না। অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে খেলতে নেমে মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ফলে শেষ ম্যাচটিতে ৭৭ রানের হারে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এই ম্যাচেও চেনা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৪ রানের মাথায় মুর্শিদা খাতুনের উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায় ১৭ রানে। ১০ রান করে ফেরেন রিতু মনি। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আর ২ রান যোগ হতেই তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ফেরেন স্বর্ণা আক্তার। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায় দলীয় ৩৩ রানের মাথায়। ব্যক্তিগত ১২ রান করে ফেরেন ওপেনার দিলারা আক্তার।
এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। ৫৩ রান তুলতেই আরও ৫ উইকেট হারায় টাইগ্রেসরা। একে একে ফিরে যান রাবেয়া খাতুন, ফাহিমা খাতুন, শরিফা খাতুন, নাহিদা আকতার ও মারুফা আকতার। তবে দশম উইকেটে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমান সাতে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শেষ ব্যাটার ফাহিমা তৃষ্ণা। ২৫ রানের জুটি গড়ে দলকে এই দুজন নিয়ে যান ৭৮ রান পর্যন্ত। দশম উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির ঘটনা।
এর আগে, প্রথমে ব্যাটিং করে পুরো সফরের ধারা বজায় রেখেই দাপট দেখায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে করে ৭১ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে অজে মেয়েরা তোলে ১৫৫ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে অ্যালিসা হিলির ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩* রান করেন তাহিলা ম্যাকগ্রা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান নাহিদা আকতার। যদিও ৪ ওভারে তাকে খরচ করতে হয়েছে ৩১ রান। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া খান।