আইপিএলে এবার মুস্তাফিজের দল পাওয়া নিয়েও ছিল শঙ্কা। সাম্প্রতিককালে যে ফর্মটা ঠিক মুস্তাফিজসুলভ ছিল না তার। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই চেন্নাই সুপার কিংস দলে ভেড়ায় তাকে। মূলত চিপকের স্লো উইকেটের কথা মাথায় রেখেই কাটার মাস্টারকে দলে টানে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। সেই আস্থার প্রতিদানও দলকে দিচ্ছেন মুস্তাফিজ। এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি যে তিনিই।
কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। এ মাসের শেষেই যে দেশে ফিরতে হবে তাকে।
আইপিএল শেষে মুস্তাফিজ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে পারুন বা না পারুন, অন্তত সম্ভাবনা রয়েছে আইপিএলের ইতিহাসে নিজের উইকেটশিকারের রেকর্ড ভাঙার। আইপিএলের এক টুর্নামেন্টে ফিজ সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। সেটা ছিল তার অভিষেক মৌসুম। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে সে বছর ১৬ ম্যাচ খেলে ১৭ উইকেট ঝুলিতে পুরেন তিনি। এবার মুস্তাফিজ কি পারবেন ৮ বছর আগে গড়া নিজের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে?
মুস্তাফিজের জন্য কাজটা কঠিন হলেও এমন ধারবাহিকতা থাকলে তাও সম্ভব। বিসিবির অনাপত্তিপত্রের শর্তানুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে ২২ গজ মাতাতে পারবেন মুস্তাফিজ। ওই সময়ের মধ্যে চেন্নাই খেলবে চারটি ম্যাচ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (১৪ এপ্রিল), লখনৌ সুপার জায়ান্টস (১৯ ও ২৩ এপ্রিল), সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (২৮ এপ্রিল)। মুস্তাফিজ চারটি ম্যাচেই একাদশে থাকবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। ওই চার ম্যাচে দুটি চেন্নাই খেলবে ঘরের মাঠে।
চার ম্যাচ থেকে মুস্তাফিজ ইতোমধ্যে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। আর ফিজ যদি শেষ চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তবে ঐকিক নিয়মের হিসেবে রেকর্ড ভাঙারই কথা। প্রথম চার ম্যাচে ৯ উইকেট পাওয়া মোস্তাফিজ সমানতালে এগুলে পরের চার ম্যাচ শেষে তার উইকেট সংখ্যা হবে ১৮। কিন্তু প্রতিদিন তো আর একই রকম হয় না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট যেহেতু কম বলের খেলা সে হিসেবে ব্যাটাররা জ্বলে উঠলে ভাগ্য খারাপ হতে পারে মুস্তাফিজের। সে হিসেবে যদি-কিন্তু ধরে টাইগার এ পেসার শেষ চার ম্যাচে ৯ উইকেটের বেশিও পেতে পারেন, আবার কোনো উইকেট নাও পেতে পারেন।
প্রথম চার ম্যাচে ৯ উইকেটের ৮টিই ফিজ পেয়েছেন চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। নিজের রেকর্ড ভাঙতে লক্ষ্ণৌ ও হায়দরাবাদের বিপক্ষে ‘হোম’ ম্যাচ দুটিই তাই বড় ভরসা হবে তার। টাইগার এ পেসার যে চেন্নাইয়ের উইকেটের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে গেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।