এ নায়িকা বলেছেন, এবারের ঈদে কিছুই হচ্ছে না। কারোরই মন ভালো নেই। বাবার ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। তিনি হাসপাতালে। গত ১৭ দিন ধরে ভর্তি আছেন বাবা। এ জন্য কারো মন ভালো নেই।
নুসরাত ফারিয়া বলেন, কী হবে জানি না। এ জন্য ঈদে আমাদের পরিবারে কিছুই হচ্ছে না। হাসপাতাল আর বাড়ি―এভাবেই সময় কাটছে।
অভিনেত্রীর বাবা মাজহারুল ইসলাম রোজার শুরুতে ব্রেন স্ট্রোক করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তখনই আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নায়িকা লিখেছিলেন, আমাদের প্রথম রোজা অনেক কঠিন ছিল। শেষ রাতে বাবা ব্রেন স্ট্রোক করে। এখন হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। আপনারা সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন।
ফারিয়াকে বেশকিছু বিব্রতকর প্রেশ্নের মুখোমুখিও হতে হয়েছে। ফারিয়া বলেন, আমাকে অনেকেই বলেন, তোমার বাবার যখন এই অবস্থা তুমি ইভেন্টে যাচ্ছ কেন, এই ছবি পোস্ট করছ কেন, তোমাকে পারফেক্টই মনে হচ্ছে।
ব্যখ্যা দিয়ে বললেন, কী করবো বলুন, এটাই আমাদের পেশার কঠিন বাস্তবতা। কখনও কখনও আমরা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া এবং সামাজিক জীবনের সাথে এতটাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি যে লোকেরা ভুলে যেতে থাকে যে আমরাও মানুষ। এটাই আমাদের রুটি রুজি। জীবন আমার দিকে যতই নুড়ি ছুঁড়ুক না কেন। আমি তাদের হাসিমুখে গ্রহণ করব এবং আমার কাজ করব। আমি এত মানুষের ভালোবাসা এবং যত্ন, ও আশীর্বাদ পেয়েছি যে আমি তাদের যথেষ্ট ধন্যবাদ দিতে পারিনি।
বাবার অসুস্থতার আগে নিজে অসুস্থ হয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। ওই সময় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল তাকে। সেই রেশ কাটিয়ে উঠার আগেই এবার বাবাকে নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়লেন দুই বাংলার এ নায়িকা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে নুসরাত নিজেই অসুস্থ হয়েছিলেন। এ সময় তাকে তড়িঘড়ি করে রাজধানীর বনানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। সেই শারীরিক ধকল কাটাতে না কাটাতেই বাবাকে নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, নুসরাত ফারিয়ার সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’-এ শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন তিনি।